নারীর অবমাননা বা নির্যাতন পরিবার ও সমাজে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যৌতুকের জন্য, ফতোয়ার শিকার হয়ে, স্বামীর পরকীয়ার কারণে, ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণের শিকার হয়ে, শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর-ননদের অত্যাচার-নির্যাতনে এ দেশের অনেক অসহায় নারীর প্রাণ চলে গেছে, এখনো যাচ্ছে। কেউ কেউ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মাহুতি দিয়েছে। নারী নির্যাতন রোধে নারী সংগঠন, নারীবাদীরা এমনকি সরকারও সোচ্চার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে রয়েছে মনস্তত্ত্ব্ব, পিতৃতন্ত্র ও বৈষম্যমূলক আইন। ইতিহাস, দর্শন, শিক্ষা কারিকুলাম নারীর প্রতিকূলে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নও নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। রাষ্ট্র আপসহীন না হলে এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ না করলে সমাজের ভেতরে এই অবক্ষয় রুখে দাঁড়ানো যাবে না। পরিবারের দায়িত্ব নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা।
নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেবলই ভোগবাদী। তারা নারীকে সবসময় ভোগের বস্তু হিসেবেই গণ্য করে থাকে। অথচ নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবার ও সমাজের জন্য অনিবার্য। পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন নারী-পুরুষের সম্মিলিত উদ্যোগ, পরিকল্পনা, ত্যাগ ও সংযমের প্রয়োজন। একইভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে নতুন সমাজ বিনির্মাণের জন্য উভয়েরই ভূমিকা ও অবদান সমভাবে প্রয়োজন। সে জন্য একজনকে উপেক্ষা করে বা বাদ দিয়ে কেবল পুরুষ কিংবা কেবল নারীর পক্ষে বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়। তাই আমরা চাই নারী-পুরুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতামূলক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। কিন্তু আমাদের এ চাওয়ার সফল বাস্তবায়ন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোথাও চোখে পড়ছে না। বরং প্রতিনিয়ত উল্টো ও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে।
পান থেকে চুন খসলেই আমরা নারীকে অপবাদ দিই। কথায় কথায় নারী কুলটা চরিত্রহীন ব্যভিচারী বলে আখ্যা দিই। নারীর দোষের অন্ত নেই। অন্যদিকে পুরুষরা শত অপরাধ করলেও তাদের চরিত্রে কোনো ধরনের কালিমা লিপ্ত হয় না। ভাবটা এমন যে পুরুষের 'চরিত্র' বলে কিছু নেই। এটা হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্ঠিভঙ্গিগত জটিল সমস্যা। এই সমস্যা নারীর নয় কেবলই পুরুষের। এটা যতদিন থাকবে ততদিন নারীর মুক্তি নেই, নারী স্বাধীনতার কথা বলে আমরা মুখে যতই ফেনা তুলি না কেন।
নারী অবমাননা কিংবা নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এর সমাধানে কেবল আইন করলেই চলবে না, সবাইকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। নারী নির্যাতন বন্ধে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের দরকার। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ-রাষ্ট্র সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। নারীর ক্ষমতায়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী সবাই নারী। এমনকি স্পিকারও নারী। তৈরি পোশাক খাতের ৮০ ভাগ শ্রমিকই এখন নারী। বাংলাদেশের নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে সংবিধান। সেখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। নারীরা যেন সুবিচার পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে।
তবে সংবিধান নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দিলেও অশিক্ষা, দারিদ্র্য বাংলাদেশের নারীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা। এ দেশের সহিংসতার শিকার একটি মেয়েকে থানার পুলিশ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলা করতে হয়। পদে পদে সবাই বোঝানোর চেষ্টা করে যেন মেয়েটাই দায়ী। নারী অবমাননা কিংবা যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে মেয়েটিকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ নেই।
নারীর সবচেয়ে গস্নানিময় অপমানসূচক অধ্যায় হচ্ছে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া। এ দেশের নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার নানাভাবে হতে পারে। তবে এর দুটো দিক রয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন। যে নারীর শরীর যত আকর্ষণীয় ও লোভনীয় তার নির্যাতন ঝুঁকি তত বেশি। এ ধরনের নারী যখন রাস্তায় চলে তখন বখাটে ছেলেরা শরীরকে লক্ষ্য করে বাজে ইঙ্গিত করে। সুযোগ পেলে তাকে নির্যাতন ধর্ষণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। নারীও যে মানুষ এটা তারা মুহূর্তে ভুলে যায়। এ ধরনের নির্যাতন ইদানীং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রেও হচ্ছে। এমনকি শিক্ষকরাও এ ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন, অবতীর্ণ হচ্ছেন ধর্ষণকারীর ভূমিকায়।
যে কোনো নারীকেই তার পারিবারিক ও সামাজিক গন্ডি এঁকে দেয় পুরুষ। পুরুষের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে নারীকে বিপথগামী, কূলটা বলে আখ্যা দেওয়া হয়। যে কোনো মুহূর্তে তার ওপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতনের খড়গ। পুরুষ বরাবরই নারীকে ভোগ্যবস্তু ও সেবা দাসী হিসেবে দেখে আসছে। যে সমাজ বা রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ- সেখানে নারী নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে- এটাই স্বাভাবিক। আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং তার মাধ্যমে সঠিক শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা গেলে সমাজ থেকে নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা কমে আসবে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে সেখানে নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা একেবারেই কম।
মনে রাখতে হবে, নারী মুক্তিতে বাধা শাস্ত্রীয় বিধিনিষেধ, সামাজিক নিয়মনীতি, প্রথা পদ্ধতি, কুসংস্কার ও অলীক বিশ্বাস। আর এ বাধা দূর করতে হবে রাষ্ট্র তথা সরকারকেই। বিবাহপ্রথা চালু হওয়ার আগে সমাজ স্বীকৃতভাবে নারী এককভাবে কারও অধীনে ছিল না। অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে যে নারীকে জয় অথবা করতলগত করতে পারত সেই ভোগ করত। এ ছাড়াও যে বা যারা নারীর মন হরণ করতে পারত সে নারী তারই হতো। তখন নারী ক্ষেত্রবিশেষে শৃঙ্খলিত থাকলেও তার কদর ছিল। অত্যাচার-নির্যাতনের এমন ব্যাপকতা ছিল না।
যখন সবাই মিলে এক নারীকে ভোগ করত, তখন নারী দলিত হতো; কিন্তু অত্যাচারিত হতো কম। নারী কার অধীনে ও অধিকারে থাকবে তা নিশ্চিত ও স্পষ্ট করার জন্য বিয়ে প্রথা চালু করা হলো। ফলে নারী নির্দিষ্ট হয়ে গেল যে, সে শুধু একজনের। একজনই তাকে ভোগ করতে পারবে। নারী এই ধারণার বাইরে যেতে পারবে না। আর গেলেই তার বিপদ।
গ্রামীণ দরিদ্র সমাজের কন্যাদায়গ্রস্ত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পিতা তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় যৌতুকের টাকা অর্ধেক পরিশোধ করে এবং বাকি অর্ধেক পরিশোধের প্রতিশ্রম্নতি রক্ষায় ব্যর্থ হলে মেয়ের ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। স্বামী-দেবর, শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদ সবাই তাকে পিটিয়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় অথবা আগুনে পুড়িয়ে মারে। এই বিপজ্জনক মধ্যযুগীয় বর্বর প্রবণতা ইদানীং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। এটা কেবল হচ্ছে অর্থের কারণে। আর এর পেছনে কাজ করছে লোভী মানসিকতা। তবে বিয়ে প্রথা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনগ্রসর সমাজে এমন পরিস্থিতি ছিল না। বিশেষ করে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে এটা নেই। এখনো পৃথিবীর কোথাও কোথাও বিশেষ করে আদিবাসীদের মধ্যে মাতৃতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিয়ে প্রথা চালু হওয়ার পর যে সমাজে নারী বেশি ছিল সে সমাজে একজন পুরুষ বহু বিবাহ করত, আবার যে সমাজে পুরুষ বেশি ছিল সে সমাজে সবাই মিলে এক নারীকে বিয়ে করত। অর্থাৎ এক নারীর বহু স্বামী গ্রহণে বাধা ছিল না। কিন্তু সমাজে এখনো সব ভাই মিলে একটি বধূকেই ঘরে আনে। ফলে ওই নারীর কদর বেড়ে যায়। নির্যাতিত হওয়ার সুযোগই থাকে না।
সভ্যতার ক্রমবিকাশের ফলে শিক্ষার বিস্তার ঘটার কারণে শাস্ত্রীয় ও ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে, সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য, সুশৃঙ্খল পরিবার গঠনের নিমিত্তে এক বিয়ে পদ্ধতি চালু হলো। যদিও মুসলিম সমাজে স্ত্রীর অনুমতিক্রমে একাধিক বিয়ে করা যায়। তবে বর্তমানে কোনো নারীই চায় না তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী থাকুক। ফলে দ্বিতীয় বিয়ের সম্মতি না দেওয়ার কারণেই একাধিক নারীতে আসক্ত পুরুষরা নিজের স্বাধীন ইচ্ছে বা অপকর্মের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন ও হত্যা করে। পতিপরায়ণ নারী চায় না তার স্বামীর ওপর কেউ ভোগ-দখল করুক। একইভাবে কোনো পুরুষ চায় না তার স্ত্রী পরপুরুষের আসক্ত হোক, কিংবা হোক ব্যভিচারী। এই না চাওয়ার কারণেই পরিবারে ও সমাজে নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পারিবারিক নির্যাতনের যে ভয়াবহরূপ এটা তারই ফল। অবশ্য আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের রাজার রয়েছে ২৩ রানি। রাজা বলে কথা।
নারী শিক্ষিত হলে, অর্থনৈতিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ালে একমাত্র সন্তান প্রত্যাশা ছাড়া তাকে সংসার করার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই। এই সমাজে হাজার হাজার নারী রয়েছেন যাদের বিয়ে হয়নি বা করেনি। তারা কি বেঁচে নেই। নারীর স্বাবলম্বীর জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা। নারীকে প্রশিক্ষণ ও প্রেরণা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, সমাজসেবীদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর। অথচ তারা এ কাজে বরাবরই উদাসীন।
মনে রাখতে হবে ভবিষ্যৎ সুখ স্বপ্নের কথা চিন্তা করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে স্বামী নামক পুরুষের হাতে নিজের আদরের কন্যাকে সম্প্রদান করা হলো, এ সমাজে তার জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। স্বামীসুখ পাওয়ার পরিবর্তে লাশ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনাই তার বেশি। একশ্রেণির পুরুষের অর্থবিত্তের প্রতি সীমাহীন লোভ এবং একশ্রেণির তরুণের বেকারত্বের অভিশাপও এর জন্য কম দায়ী নয়। উচ্চাভিলাষী ও লোভী নারী-পুরুষ মাত্রই পরিবার ও সমাজে ক্ষতিকর। এদের মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত করা সম্ভব হলে পারিবারিক ও সামাজিক সুস্থতা অনেকটাই ফিরে আসবে। নির্যাতনের এমন ভয়াবহতা থাকবে না।
কোনো মানুষ শিক্ষিত নয়, কিন্তু মানবিক ও বিবেক-বিবেচনা বোধ তার মধ্যে রয়েছে, যুক্তি মানে ও বোঝে। মানুষের দুঃখ শোকে কাতর হন যিনি, সহমর্মিতা যার মধ্যে জাগ্রত হয় তিনি তো নারী অবমাননাকারী নির্যাতক বা হত্যাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন না। বিবেকবোধ ও মানবিকতা সব নারী-পুরুষের মধ্যে জাগ্রত হলে নির্যাতন হত্যাকেন্দ্রিক পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র পাল্টে যাবে। তবে তার আগে প্রয়োজন দেশব্যাপী শিক্ষার বিস্তার ঘটানো, দারিদ্র্য বিমোচনে ও বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। সবকিছু যদি সঠিক ও সমান্তরালভাবে চলে তবে সমাজ ও রাষ্ট্রও সঠিকভাবে চলবে। আর প্রতিদিন পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতনের ভয়াবহতা আমাদের প্রত্যক্ষ করা লাগবে না। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। এটা যতদিন না হবে ততদিন পর্যন্ত নারী নির্যাতনের মাত্রা ও ভয়াবহতা কমবে না। আর এর জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, প্রতিবাদ সভা-পথসভার মাধ্যমে চিৎকার করেও কোনো ফল হবে না।
নারী তো তার সামগ্রিকতা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে চায়। কিন্তু পুরুষকে তো তা গ্রহণ করার মানসিকতা, সাহস ও উদারতা অর্জন করতে হবে, হতে হবে উন্নত সাংস্কৃতিক ও রুচির অধিকারী। দায়িত্ব পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও এককভাবে পুরুষের। এ ব্যাপারে নারীরও করণীয় কম নয়। কারণ যিশুর ক্রুস যিশুকেই বহন করতে হয়েছে। স্বামী, অভিভাবক ও আত্মীয়স্বজনদের নারীর কর্তব্য কাজে উৎসাহ জোগাতে হবে। তাদের সফল উদ্যোগ ও চিন্তাকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। চরম বেকারত্বের এ দেশে, ঋণনির্ভর অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়ানো বাংলাদেশে, অতি উচ্চমূল্যের বাজারে, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নারী স্বাধীনতা খোঁজা অর্থহীন। তবে চেষ্টা চালাতে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দোষ কী। দিন না বাড়িয়ে সেই হাত।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পুরুষের মানসিকতার পরিবর্তন এবং নারী অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করলে কিছুটা পরিবর্তন সূচিত হতে পারে, সে জন্য আমাদের নারীদের আরও দীর্ঘ পিচ্ছিল ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিতে হবে।
সালাম সালেহ উদদীন : কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক