বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

নারী শিক্ষার সেকাল-একাল

সেকালের মতো আজকের নারীরা অন্ধকারে নেই। তাদের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। নিজেকে শিক্ষিত করে কর্মময় জীবনে প্রবেশ করছে। শিক্ষায় তাদের পরিবর্তন করেছে। তাই সেকালের নারীদের অন্ধকার যুগ আর নেই।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ৩০ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
নারী শিক্ষার সেকাল-একাল

একটা প্রবাদ আছে, একজন পুরুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে সে নিজে শিক্ষিত হলো। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। এ কারণেই বিখ্যাত ফরাসি বীর নেপোলিয়ান বোনাপাটি বলেছেন, আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় আঠারো মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। এ দীর্ঘ সময় অনেকে পড়ালেখা যেমন বন্ধ করেছে তেমনি অনেক মেয়ের বিয়ে হয়েছে- যা দেশের প্রচলিত আইনে বাল্যবিয়ের আওতায় পড়ে। তবুও এ দেশের মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে। সেকালের অন্ধকার যুগ আর নেই। তারা যেমন শিক্ষাগ্রহণ করে কর্মময় জীবনে প্রবেশ করছে তেমনি তাদের এগিয়ে নিতে হবে। তাই মোটাদাগে বলা যায়, সেকালের নারী শিক্ষার অন্ধকার যুগ পেরিয়ে সময়ের পরিক্রমায় বর্তমান নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

'এ বিশ্বে যা কিছু চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর' কবি নজরুল ইসলামের এ বিখ্যাত উক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর পদচারণায় সত্যেরই প্রতিধ্বনি। কেননা, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে যে দেশের যাত্রা শুরু হয়, সেই বাংলাদেশ কি কেবল হতাশায় নিমজ্জিত? নিশ্চয় তা নয়। স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল অর্জন। নানা খাতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও সংগঠনের দ্বারা বাংলাদেশ সাফল্যের গৌরবগাথা ইতিহাস অর্জন করেছে। সারা বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী দেখছে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে। যেখানে কৃষি শিল্প, শিক্ষার পাশাপাশি নারী সমাজের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। শিক্ষা জাতি গঠনের শুধু মূল স্তম্ভই নয়, শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। একটি রাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি ও নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়লে দেশ অগ্রগতি, উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একসময় বাঙালি নারীসমাজ শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। শিক্ষাদীক্ষা বাইরের পরিবর্তিত দুনিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো পরিচয় ছিল না। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া তাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার পথ দেখালেন। তিনি যে, নারী শিক্ষার আলো প্রজ্বলিত করেন সেই আলোয় আলোকিত হলেন নারীসমাজ। সমস্ত বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে নারীসমাজ শিক্ষাগ্রহণে ব্রতী হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তাই বর্তমান নারীসমাজ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে। আজ নারীসমাজ অন্ধঅনুকরণ থেকে মুক্ত। সব ধরনের জড়তা, কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন সত্তা ও একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সংগ্রামে তারা অনেকটাই জয়ী। শিক্ষার আলোয় তাদের এই পথ দেখিয়েছে। শিক্ষাই তাদের পৌঁছে দিচ্ছে সাফল্যের সুউচ্চ শিখরে। আজ নারী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে আপন মহিমায় ভাস্বর। তাই নারী আজ ঘরের কোণে সেকালের মতো বন্দি থেকে অন্ধঅনুকরণ ও বিশ্বাসকে আঁকড়ে না ধরে শিক্ষা তাদের অন্তর-বাহিরকে জাগরিত করেছে। তাই এ কথা আজ বলতে দ্বিধা নেই যে, শিক্ষা ছাড়া নারীসমাজের পরিবর্তন সম্ভপর ছিল না। কারণ শিক্ষা শুধু একটি জাতি গঠনের মূল স্তম্ভই নয় বরং জাতির বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে জাগ্রত করে। দেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। যুগে যুগে নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে গেছে সমৃদ্ধির পথে। আজকে আমাদের নারীর অগ্রগতি আমাদের আশান্বিত করে। একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু পুরুষ নয়- এগিয়ে চলেছে নারীও, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ পথে নারীর নানা বাধা বিপত্তি থাকলেও শিক্ষা, চাকরি, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং পেশায় থেকে দেশ জাতির উন্নতি, অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে।

বেগম রোকেয়া যে, নারী জাতির অগ্রগতি উন্নয়নের কথা ভেবেছিলেন তা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। এগিয়ে চলেছে নারী, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বর্তমান সমাজে নারী সেকালের বৃত্তের মধ্যে বন্দি নেই। সমাজ ব্যবস্থার আরোপিত শৃঙ্খল ভেঙে আত্মবিশ্বাসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নারী শুধু ঘরেই নয়, এমন সব কর্মকান্ডে নিয়োজিত থেকে তাদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দিয়ে অগ্রগতি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে- তা শুধু নারীর অগ্রগতি নয়, দেশের অর্থনীতির ভীত শক্ত ও মজবুত হচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এক তথ্যে জানা গেছে বর্তমান প্রায় ৩ লাখের অধিক নারী শ্রমিক সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। জনশক্তি রপ্তানিকারণ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, নারী শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া ইতিবাচক। তবে এ ক্ষেত্রে তারা হয়রানি ও নির্যাতন হচ্ছে। নারী অভিবাসন সংগঠনগুলো তাই সচেতন হয়ে ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার কথা বলছেন। বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। তাছাড়া নারী আজ নিজ বাসা বাড়িতে কাঁথা সেলাই, বিভিন্ন রংবেরঙের কুঠির শিল্প তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রাম-বাংলার গরিব অর্ধশিক্ষিত নারীরা। নিজ এলাকায় নানা ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বেগম রোকেয়ার যদি জন্ম না হতো তাহলে ভারত উপমহাদেশে বাংলার নারী এখনো সে অন্ধাকার যুগেই পড়ে থাকত। তাই তিনি অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলার নারীদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষার আলোই আজ বাংলার নারী আলোকিত জীবন পেয়েছে। তাই তারা অগ্রগতির পথে ও উন্নয়নের পথে ধাবমান। তাদের চিন্তাচেতনার পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। নারী শুধু রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ নয়, একজন পুরুষের সঙ্গে তারাও সমানভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে। উপযুক্ত শিক্ষা ও অনুকূল পরিবেশে বিস্তৃতি ঘটলে নিজের মেধা ও মননে নারী নিজেদের মেলে ধরনে সক্ষম- বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি তা প্রমাণ করে।

\হযে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতির মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। কারণ রাজনীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়। রাজনীতি ও ক্ষমতা কাঠামো থেকে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে বাদ দিয়ে সত্যিকার অর্থে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণ কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। কবি নজরুলের এ মহান বাণীটির অর্থ হলো জেন্ডার বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে নারীর অগ্রগতি দেশের উন্নয়ন। মোটা দাগে বলা যায়, নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি দেশের উন্নয়ন ঘটে। বর্তমান বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী-পুরুষের যৌথভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে গণতন্ত্র উন্নয়ন, সুসংহত হবে তেমনি সুশাসন দৃঢ় হবে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নারী আর পিছিয়ে নেই, নারীর অগ্রগতি উন্নয়ন হয়েছে তার বড় প্রমান নারীর ক্ষমতায়ন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আজ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

আমাদের সংবিধানে শুধু নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে ২৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে। তাই কোনো অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাঝে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে গেলে নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। যে কথা বেগম রোকেয়া, কবি নজরুল অনেক আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সর্বক্ষেত্রেই নারীর ক্ষমতায়ন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে প্রায় দেড় দশকে নারীর সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষাই দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরো (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ নারী। মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীর সংখ্যা ৫৩ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ের নারীর অংশগ্রহণের সূচকে এ অঞ্চলের প্রথম সারীর ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি কৃষি শিল্পসহ সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। সাংবাদিকতা হিসেবেও নারী সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবার মধ্যে দিয়ে তাদের অগ্রগতি জানান দিয়ে যাচ্ছেন।

সুতরাং নারী অগ্রগতি শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টি এখন বহুল আলোচিত। বর্তমান আমাদের জনসংখ্যা ১৭ কোটির অধিক। আবার দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে নিরক্ষর অবহেলিত অদক্ষ রেখে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমাধিকার নিশ্চিত করেছে। নারীর অগ্রগতি শিক্ষা অর্জন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের জন্য সরকার শিক্ষাকে অগ্রধিকার দিয়ে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ফলে নারী শিক্ষা আজ নবযুগের সূচনা হয়েছে। আমাদের সংবিধান মোতাবেক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব নাগরিকের শিক্ষা, সমাধিকারসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সরকার নারী-পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের সব ধরনের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা, সামাজিক দিক থেকে নারীসমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেও নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ করেছেন। এ নীতিমালার মূল সুর হচ্ছে নারী জাতিকে শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা। তাই নারী সচেতনতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। শিক্ষার আলো থেকেই তাদের বঞ্চিত রেখে নারীর অগ্রগতি, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। আবার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে পুরুষের সমকক্ষতা অর্জন কখনো সম্ভব নয়। তাই আমাদের সংবিধান মোতাবেক শিক্ষাগ্রহণ করে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে নারীর অগ্রগতির ক্ষেত্রে কিছু বাধা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখনো নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাদের পথচলা সুগম হয়নি। ঘরে বাইরে তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। বাল্যবিয়ে, ঝরে পড়া নারীর শিক্ষা অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা। তবুও শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর অংশ গ্রহণ বাড়ছে। ফলে অনেক নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষমতা অর্জন করছে।

সেকালের মতো আজকের নারীরা অন্ধকারে নেই। তাদের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। নিজেকে শিক্ষিত করে কর্মময় জীবনে প্রবেশ করছে। শিক্ষায় তাদের পরিবর্তন করেছে। তাই সেকালের নারীদের অন্ধকার যুগ আর নেই।

\হনারী সে অন্ধকার যুগ থেকে আলোকিত সমাজে বাস করছে। তবে তাদের চলার পথ মসৃণ নয়। নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবুও সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে শিক্ষার গ্রহণে যে আত্মবিশ্বাস অগ্রগতির ধারা দৃশ্যমান তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

\হ

মোহাম্মদ নজাবত আলী :শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে