সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে কর্মী পাঠানোর পরিকল্পনা

দ্রম্নত বাস্তবায়ন হোক
নতুনধারা
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দুই বছর ধরে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে গড়ে এক লাখের মতো কর্মী বিদেশ যাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি এবং সঠিক ও সময়োপযোগী কূটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অভিবাসন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ছয় হাজার ৮৭ জন কর্মী পাঠানোর মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যাত্রা শুরু হয়। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিদেশে কর্মী পাঠানো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যান। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৩ জনে উন্নীত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

এসব কর্মসংস্থানের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে সৌদি আরব। দেশটিতে ১১ মাসে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০২ জন কর্মী গেছে। এরপরে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়, দেশটিতে কর্মী গেছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ কর্মী গেছে ওমানে, দেশটিতে গেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৬১ জন। এ ছাড়াও ২০২১ সালে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন বিদেশ যান। ২০২০ সালে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন বিদেশ যান। ২০১৯ সালে বিদেশ গেছে ৭ লাখ ১৫৯ জন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং শ্রম খাত নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কারণে রেকর্ড পরিমাণ কর্মী বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরি করছে। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে ইউরোপের অনেক দেশে কর্মী যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে দক্ষ কর্মী পাঠাতে বেশি জোর দিতে চায় সরকার।

অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক আছে যারা বিদেশে গিয়ে ঠিকমতো কাজ পাচ্ছে না। আবার যারা কাজ করছেন নামমাত্র বেতন- যা দিয়ে নিজে চলা কঠিন। তবে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ কর্মী বিদেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এ বছর হয়ত এই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আমরা মনে করি, বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে। ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে বাড়তি নজর দিতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সির ট্রেনিংয়ের সঙ্গে সরকারি ট্রেনিংয়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে সমস্যা তৈরি হবে। বিদেশে গিয়ে যাতে আমাদের শ্রমিকরা প্রতারণার শিকার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তাদের রক্ষা করতে হবে দালাল প্রতারকদের দৌরাত্ম্য থেকেও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে