বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ

কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে
নতুনধারা
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ

প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ মানুষকে জিম্মি করে স্বার্থ আদায় এবং নানারকম অপরাধমূলক ঘটনা একের পর এক ঘটছেই। অথচ বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ধরনের ঘটনা রোধ না হলে তা সামগ্রিক অর্থেই উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, সমবায় সমিতির নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব-৩)। বুধবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উলেস্নখ্য,র্ যাব-৩ জানায়, গ্রেপ্তার ফখরুল সমবায় সমিতির নামে চার শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সে এই চক্রের মূল হোতা। তার নামে সাতটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

আমরা মনে করি, যখন প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে, তখন তা সামগ্রিকভাবেই উদ্বেগজনক। সঙ্গত কারণেই তথ্য পর্যবেক্ষণ এবং যারাই এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রেপ্তার ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ের্ যাব জানিয়েছে, ফখরুল ২০১১ সালে মেঘনা মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৩ সালে ওই সমবায় সমিতির গ্রাহক সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়ে গেলে তিনি গ্রাহকদের জমানো কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ আদালত আইন এবং সমবায় সমিতি আইনে চেক জালিয়াতিসহ প্রতারণার অভিযোগে মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলায় আদালত তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন।

আমরা বলতে চাই, সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া কিংবা এই ধরনের অপরাধের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান খুলে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে প্রতারণার ম্যধ্যম অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গত কারণেই সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। যেন কেউ এই ধরনের প্রতারণা করার সাহস না পায়। অন্যদিকে, জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে, যেন মানুষ এভাবে প্রতারণার শিকার না হয়।

এইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়া কতটা ভয়ানক হতে পারে তা আমলে নেওয়াও জরুরি। যখন প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে- তখন আইন মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে, অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে আরো বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠবে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন অপরাধপ্রবণ ঘটনা কতটা ভয়ানক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না। লক্ষণীয়, বিভিন্ন সময়েই নানা ধরনের প্রতারক চক্রর অপতৎপরতার বিষয় আলোচনায় এসেছে। যারা প্রতারণার অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন এবং নানাভাবে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করেন। এছাড়া ভয়ংকর বস্ন্যাকমেইলিং চক্র গড়ে তোলার বিষয়টিও এর আগে জানা গিয়েছিল। ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বস্ন্যাকমেইলিং করা, চাকরির নামে অর্থ আদায়, ফাঁদে ফেলাসহ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ঠকানোর মতো নানা ধরনের অপতৎপরতার বিষয় বিভিন্ন সময়েই সামনে এসেছে। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে এই ধরনের ঘটনা আমলে নিতে হবে এবং যারা এই ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, এবারের ঘটনা আমলে নিতে হবে এবং আইনগত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে, এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও নানা সময়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। মানুষের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করেছে অপরাধী চক্র। ফলে যারা স্বার্থ উদ্ধারে এমন প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতে তৎপর তাদের লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্টরা সব ধরনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এমনটি কাম্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে