গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। দেশ পরিচালনায় নির্বাচিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হওয়া চাই। ছোট বড় নিবন্ধিত অনিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণ নির্বাচনে থাকার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বড় দল ছোট দল বড় জোট ছোট জোট বলে কোন কথা নেই। দেশ সব দলের সব মানুষের। গোত্র দল পেশা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে। প্রার্থী হওয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দল বা জোট করা দেশের সব জনগণ মানুষের রয়েছে। বিগত দিনের নির্বাচনে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারার ইতিহাস আছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। একটি দল নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করছে। জনগণ তাদের কাছে তাদের নিকট অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। এই সরকার বলছে দেশের বিভিন্ন সেক্টর সংস্কার করবে। সংস্কারে হাত দিয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন সিইসি নিয়োগ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার করবে। করতে হবে। অতিতের নির্বাচন কমিশন নিয়ে জনগণের আস্থার সংকট ছিল। প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। এই সংস্কার রাতারাতি কয়েকদিনে সম্ভব নয়। যতদিন সময় দরকার সেই সময় কমিশনকে দিতে হবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে।
জনগন সংস্কারে আশাবাদী। অর্থনৈতিক সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারবেনা। তাড়াহুড়া করে নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নাও হতে পারে। ফলে গ্রহণযোগ্য সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পূণাঙ্গভাবে সংস্কার চায় জনগণ। জনগণের চিন্তা চেতনা মনোভাবের আলোকে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোক। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কতিপয় রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য তড়িগড়ি করল্েও জনগনের দাবি হলো সম্পূর্ণ নির্বাচন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন। যদি সেটি করা সম্ভব হয় তাহলে জনগণ তাদের ইচ্ছে মতো প্রাপ্তি, প্রতিদ্বন্দিতা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে পারবে এই জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগনের চিন্তার সঙ্গে একমত হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের জনগণ কোনো একক রাজনৈতিক দলের সিদ্বান্তের সাথে একমত নয়। রাজনীতি হতে হবে দেশ ্ও জনগনের জন্য। একটি দলকে হটিয়ে আরেকটি দলকে তাড়াহুড়া করে যেন তেন নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের কাজ হতে পারে না। এই সরকারকে প্রকৃতভাবে জনগনের মনোভাব মতামত পরিক্ষা নিরিক্ষা করে কাজ করতে হবে। ছোট বড় সকল দলের মতের অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন চাই। সেই জন্য তাড়াহুড়া করার দরকার আছে বলে জনগন মনে করে না। স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন সকল নির্বাচন কালো টাকা, চিহ্নিত দূর্নিতিবাজ অর্থপাচারকারী জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসি ব্যাক্তি গোষ্ঠি দলকে অযোগ্য হিসেবে দেখতে হবে। আগামির নির্বাচন পরিচ্ছন্ন প্রার্থি সৎ যোগ্য জনগন যেন প্রার্থি হিসেবে তাদের ইচ্ছে মতো স্বাধিন ভাবে সকল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে। ্েসই পরিবেশ তৈরি করা বর্তমান সরকরারের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।
জুলাই আগস্ট গণ বিপস্নব যে সকল অন্যায় দূর্নিতি ক্ষমতার অপব্যবহার লুটপাট কারিদের বিরোদ্ধে সংঘটিত হয়েছে সেই আদর্শ চিন্তায় রেখে কোনো ধরণের অত্যাচারি জুলুমবাজ আবার যেন ক্ষমতার চেয়ারে না বসতে পারে সেই সংস্কার করতে হবে। দেশের মানুষ বারবার জালিমের বিরোদ্ধে অত্যাচার নিপিড়ন লুটপাট কারির ছত্র ছায়ায় যেন না পড়ে। স্থায়ী ভাবে দেশের অর্থসম্পদ লুন্টন কারি পাচার কারি জঘন্য অপরাধিদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে শাস্তির বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। বারবার নিরীহ কোমলমতি দেশের ভবিষ্যৎ ছাত্র সমাজকে যেন সুশাসনের জন্য আন্দোলন করতে না হয় সেই দুষ্ট চক্র ্ও পদকে বাংলাদেশের স্বাধিন মানচিত্র থেকে বয়কট করতে হবে। এই কঠিন কাজ এবং সংস্কার করেই সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় দেশের আপামর জনগন। কতিপয় রাজনৈতিকর দলের চাপ্ ্ও আকাঙ্খা পূরণের জন্য বর্তমানের অন্তর্বর্তিকালীন সরকার নয়।
আসুন প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ্ও সংস্কার করেই সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
মাহমুদুল হক আনসারী :সংগঠক