বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো রিলস। এটি মূলত ১৫-৬০ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত ভিডিও, যা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো পস্ন্যাটফর্মে সহজলভ্য। বিনোদনের এই দ্রম্নত মাধ্যমটি যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনই এর আসক্তি সমাজে এক নতুন সংকট তৈরি করছে। রিলস দেখতে দেখতে ব্যবহারকারীরা প্রায়শই সময়ের ব্যাপারে অসচেতন হয়ে পড়েন। তরুণ প্রজন্মের এক বড় অংশ পড়াশোনা এবং কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় এই ছোট ভিডিও দেখতে নষ্ট করছে।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা বাড়ছে। রিলসে প্রায়ই অশ্লীলতা, মিথ্যা তথ্য এবং নেতিবাচক বার্তা প্রচারিত হয়, যা তরুণ প্রজন্মের নৈতিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সাম্প্রতিক সময় রিলস পস্ন্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়ার জন্য অনেকেই অশ্লীল ভাষা, হিংসাত্মক কার্যকলাপ এবং অনৈতিক বিষয়বস্তু তৈরি করছে। এ ধরনের কনটেন্ট দ্রম্নত ট্রেন্ডে পরিণত হয় এবং তরুণ প্রজন্ম তা অনুকরণ করতে শুরু করে।
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্মের দায়িত্ব
পস্ন্যাটফর্মগুলোকে অনৈতিক এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
তরুণদের মধ্যে নৈতিকতা এবং সংস্কৃতির গুরুত্ব বোঝাতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিলসের আসক্তি একদিকে যেমন বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে, তেমনই এটি তরুণ প্রজন্মের নৈতিকতা এবং সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। অন্যথায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠতে হবে।
হালিমা আক্তার হানি
রাজশাহী কলেজ
সহযোগী সদস্য, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি