প্রচলিত ধারার শিক্ষার সঙ্গে জীবনমুখী শিক্ষার বিশেষ পার্থক্য দৃশ্যমান। এটি এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি- যা শুধু বইয়ের জ্ঞান বা পরীক্ষার ফলের দিকে মনোযোগ না দিয়ে জীবনের বাস্তব প্রয়োজন, দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা অর্জনের দিকে গুরুত্ব প্রদান করে। এ ধরনের শিক্ষা মানুষের সামাজিক, পারিবারিক এবং পেশাগত জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। পাশাপাশি ব্যক্তি মানুষকে চিন্তাশীল, সৃজনশীল এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় উপযুক্ত ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, প্রচলিত ধারার গণশিক্ষায় সমাজের সব স্তর, পেশা ও শ্রেণির মানুষকে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার এই দুটি বিশেষ ধারা নিয়ে কথা বলতে গেলে বাংলাদেশে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সবার আগে আসে, সেটি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষাকে সবার দোরগোড়ায় নিয়ে আসার মহান ব্রত নিয়ে কাজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর সে উদ্যোগে পরিপূর্ণতা আনয়ন করার এক সামগ্রিক কৌশল নিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে নিত্যনতুন চিন্তাভাবনা এবং পাঠদান কৌশলের মধ্যে নতুনত্ব আনার মাধ্যমে কম সময়ে এবং কম খরচে জনগণকে জ্ঞানের সীমানায় নিয়ে আসায় তাদের প্রচেষ্টা চলমান। গণশিক্ষা সার্টিফিকেট অর্জন সবকিছু নয়, তাই এখানে নেই পাস-ফেলের দায়। অন্যদিকে, প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের এমনকি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত বাস্তবতার ভিত্তিতে সেই জ্ঞান কাজে লাগানো যায়। বাস্তবে অপূর্ণ শিক্ষাকে পূর্ণ করে গণশিক্ষা।
সমাজে বসবাসকারী সব ধরনের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কে এক যৌগ সামাজিক রসায়ন তৈরি হয় সাধারণভাবে গণশিক্ষায় অর্জিত জ্ঞানের বাস্তব প্রতিফলন রূপে। যোগাযোগ ঘনিষ্ঠতায় সবিশেষ ভূমিকা রাখে গণশিক্ষায় প্রাপ্ত অনন্য সাধারণ জ্ঞান। মাধ্যম হিসেবে গণশিক্ষা জাতি গঠনে তার ভূমিকা অত্যন্ত শক্তিমত্তার সঙ্গে পালন করে। তবে জীবনমুখী শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা করতে গেলে সেখানে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনকে সামনে রাখতে হয়। বইয়ের পাঠ্যক্রমের বাইরেও যে জীবনবোধ, বাস্তব জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রয়োজন, তা জীবনমুখী শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়। এতে পাঠ্যপুস্তকের বাইরের জ্ঞান যেমন যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ রয়েছে বেশি।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তার সামাজিক দায়িত্বশীলতাকে জীবনমুখী শিক্ষার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে। এই শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব এবং নৈতিকতা বুঝতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে সমাজের প্রতি সচেতনতা ও সহানুভূতি গড়ে উঠবে তারা। এখানে তাদের পেশাগত দক্ষতা যেমন সৃষ্টি হবে তেমনি জীবনে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণাও লাভ করবে তারা। কারণ, সফল হতে হলে সঠিক পেশাগত দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। জীবনমুখী শিক্ষা পেশাগত জীবন ও কর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত দক্ষতা যেমন নেতৃত্বের গুণাবলি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যোগাযোগ এবং আস্থার সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা গড়ে তোলে। আর গণশিক্ষার মূল উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে সরলরৈখিক হলে চিন্তা ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়ন সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার এবং সমস্যার সমাধানে সৃজনশীল পন্থা অবলম্বন করতে উৎসাহিত করলে সে শিক্ষা সহজেই জীবনঘনিষ্ঠ হতে পারে। এতে করে আত্মবিশ্বাস ও উদ্ভাবনী মনোভাবের উন্নতি ঘটে শিক্ষার্থীদের। তারা জীবনমুখী শিক্ষার উপাদানকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জীবন দক্ষতা প্রতিনিয়ত কাজে আসে। যেমন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবার পরিচালনা ইত্যাদির জ্ঞান তাদের চলার পথ মসৃণ করতে পারে। অন্যদিকে, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং সমস্যার সমাধান করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, কোনো সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি। এখানে যোগাযোগ ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি মানুষকে জীবনে সফল হতে পথ দেখায়।
শিক্ষা কেবল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে অর্থপূর্ণ এবং সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, তা নিঃসন্দেহে জীবনঘনিষ্ঠ। সেখানে মানসিকতা, দক্ষতা এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি তৈরি হলে তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। এই শিক্ষা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং সমাজের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। অন্যদিকে, গণশিক্ষা শিক্ষার একটি শাখা হলেও তাকে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির আওতাভুক্ত করা যায় না। নিরক্ষর থেকে নিয়ে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত পর্যন্ত সব শ্রেণি, পেশা ও বয়সের জনগণ এই শিক্ষার আওতায় থাকে।
সাধারণত ধারণা করা হয় যে, গণশিক্ষা হলো শুধু নিরক্ষর ও বয়স্ক জনগণকে শিক্ষাদান করার পদ্ধতি। তবে, নানা মাধ্যম ও বিষয়ে শিক্ষাদান করার লক্ষ্য নিয়েই গণশিক্ষা পরিচালিত হয়। প্রচলিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কারিকুলামে যা পড়ানো হয়নি বা যা পড়ানো হলেও পরিপূর্ণভাবে পড়ানো হয়নি, তা এই গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতাধীন থাকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব, কারিকুলামের ভিন্নতা, গ্রাম বা শহরের অবস্থানভিত্তিক ভিন্নতা, বিত্ত-উচ্চবিত্তের ভিন্নতা, এগিয়ে থাকা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভিন্নতা ইত্যাদি নানা ভিন্নতার ফলে আমাদের দেশে শিক্ষা লাভের পরও প্রকৃত জ্ঞান অর্থাৎ বাস্তব জ্ঞানে ভিন্নতা থেকে যায়। আর এমন ভিন্নতা থেকেই আসে বৈষম্যমূলক চিন্তা এবং আচরণের দুর্বৃত্তায়ন। জাতি হিসেবে একদল মানুষের সমপর্যায়ের বা অন্তত কাছাকাছি থেকে চলমান হতে হয়, তাহলেই জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানো সম্ভব হয়। আমজনতা বলতে বাংলাদেশে এখনো অশিক্ষিত, কম শিক্ষিত বা কম জ্ঞানী মানুষের দলকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়।
গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এক্ষেত্রে দায়ী মূলত আমাদের প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা। পৃথিবীর উন্নত দেশের সব মানুষের মধ্যে এক্ষেত্রে একটি সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়। দেশপ্রেম শিক্ষা, নৈতিকতার শিক্ষা, হস্তশিল্প শিক্ষা, রান্না বা জীবন ধারণের সাধারণ অথচ প্রয়োজনীয় শিক্ষা, ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক শিক্ষা, পারস্পরিক আচার-ব্যবহার ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে একমাত্র অথচ সাধারণ শিক্ষায় লব্ধ জ্ঞান তাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। জাতীয়তাবোধের তাড়না ভেতর থেকে জাগ্রত করতে এই একমাত্র শিক্ষা- যা গণশিক্ষায় লাভ করা সম্ভব, তার বিকল্প নেই।
বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশের একটা সুনির্দিষ্ট গণশিক্ষা নীতি থাকা জরুরি। এই নীতির আওতায় একটি স্বল্পমেয়াদি (৫ বছর) এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি (২৫ বছর) বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। গণশিক্ষা নীতিতে গণশিক্ষার সংজ্ঞা, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, এর পরিসর, বাস্তবায়ন কৌশলসহ সামগ্রিক পরিকল্পনা যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। এখানে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবী, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কৃষক, শ্রমিক, স্থানীয় নেতা, আইনজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গণশিক্ষা নীতিতে গণশিক্ষার সংজ্ঞা, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, এর পরিসর, বাস্তবায়ন কৌশলসহ সামগ্রিক পরিকল্পনা যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। এখানে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবী, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কৃষক, শ্রমিক, স্থানীয় নেতা, আইনজীবীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নৈতিকতা, সামাজিকতা, দেশপ্রেমসহ সব ধরনের মূল্যবোধ যখন হারিয়ে যেতে বসেছে, ঠিক এমন সময় গণশিক্ষাই হতে পারে জাতিকে ফের তার মূলধারায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কার্যকরী উপাদান। গণশিক্ষার মাধ্যমে আপামর জনসাধারণকে (নিরক্ষর থেকে উচ্চশিক্ষিত পর্যন্ত) দেশপ্রেমের শিক্ষা দিতে হবে; বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য করণীয় অর্থাৎ জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দিতে হবে; জাতির প্রতি, মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা দিতে হবে; মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস শেখাতে হবে। এছাড়া, নৈতিক পরিশীলিতা, হস্তশিল্প, রান্না বা জীবন ধারণের সাধারণ অথচ প্রয়োজনীয় শিক্ষা, ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক শিক্ষা, পারস্পরিক আচার-ব্যবহার ইত্যাদি শেখাতে হবে।
টার্গেট গ্রম্নপ হতে পারে: অক্ষরহীন, নিরক্ষর; অল্প শিক্ষিত; মাঝারি শিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিত। জাতীয় গণশিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অর্জিত হবে : (১) দেশপ্রেম জাগ্রত হবে; (২) জাতীয়তাবোধ মজবুত হবে; (৩) সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে; (৪) ব্যক্তিগত উন্নতি ও পারিবারিক বন্ধন মজবুত হবে এবং (৫) যুগোপযোগী বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপস্নবে নিজেকে এবং জাতিকে যথাযথ অবস্থানে চিহ্নিত করতে পারবে।
হতাশাগ্রস্ত বেশ কয়েকটি প্রজন্মের মধ্যে স্বাভাবিক দেশপ্রেম প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্মের নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসা কমে গেছে। এখান থেকে বের করতে হলে দেশের প্রতি ভালোবাসার মন তৈরি করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে মাতৃভূমির সব অর্জনকে বুকে ধারণ করে গর্বিত হওয়া এবং বাংলাদেশের ক্রম উন্নতির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মনোভাব জাগ্রত হোক এমন নানারূপ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিভিন্ন ধারা ও মাধ্যমের কর্মমুখী শিক্ষা, জীবনমুখী শিক্ষা, মানবিক গুণাবলি সঞ্চারক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষার পরিসর রচনা করতে হবে। ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। এছাড়া, কৃষি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা, নার্সিং শিক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।
নিরক্ষর, স্বাক্ষর এবং শিক্ষিত সব মানুষকেই গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। গণশিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক, নৈতিক, কারিগরি ইত্যাদি শিক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক সমকালীন জ্ঞান বিতরণ করা প্রয়োজন। দেশের নারী জনগোষ্ঠীর উন্নত জ্ঞান সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে। চতুর্থ শিল্পবিপস্নবের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে তাদের পিছিয়ে রেখে দেশের উন্নয়ন মোটেই সম্ভব নয়। গণশিক্ষার মাধ্যমে নারী শিক্ষার যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটানো সম্ভব।
গণশিক্ষার মাধ্যমে যে কোনো সরকারি এজেন্ডাকে অতি দ্রম্নত বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। কনটেন্ট ক্রিয়েটর, গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েবসাইট ডিজাইনারসহ অনলাইনে এক্সপার্টদের নিয়ে একটি স্যোশাল মিডিয়া প্যানেল তৈরি করা যেতে পারে। গণশিক্ষাবিষয়ক একটি স্বতন্ত্র ইউটিউব চ্যানেল (রেডিও/টিভি) চালু করা দরকার। গণশিক্ষা কার্যক্রমের সব বিষয়ের ভিডিও আপলোডসহ জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে এমন গান, কবিতা, শর্ট ফিল্ম, ইত্যাদিও এ চ্যানেলে প্রচারিত হবে। এ ধারণাটিকে সামনে রেখেই কাজ করে আসছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও এ ধরনের চিন্তায় তারাই পথিকৃৎ। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা গেলে তারা নিঃসন্দেহে জীবনমুখী গণশিক্ষা বিস্তারে আরও সফলতা নিয়ে আসতে পারবে।
আবুল হাসনাত মোহা. শামীম : অধ্যাপক, গবেষক ও ট্রেজারার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়