দেশ আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের গর্ব। এর উন্নতি ও মঙ্গল নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সবার একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি দমন, সামাজিক সম্পৃক্ততা, পরিবেশ রক্ষা- এই সব ক্ষেত্রে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সবাইকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। শিশুদের হাতে বই-খাতা ও কলম তুলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করে বেকারত্ব দূর করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। দেশের সম্পদ লুট করাকে বরদাস্ত করা যাবে না। গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে হবে, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে হবে। তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে দেশপ্রেমিক, কর্মঠ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সততা, পরিশ্রম ও মানবিকতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারব। আসুন, দেশ গড়ার পথে হাত মিলিয়ে নিই।
মো.আবু তালেব
শিক্ষার্থী, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রমজানে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান মনিটরিং
ফুটপাতে এবং রাস্তার পাশে অনেক ছোটখাটো ভাজাপোড়ার দোকান বসে। নষ্ট তেল দিয়ে জিলাপি, পেঁয়াজু, বেগুনি এবং যাবতীয় ভাজাপোড়ার খাবাত তৈরি করে। ঠান্ডা, বাশি এবং আগেরদিনের খাবার একসাথে করে বিক্রি করে। এবং খেজুরে রঙ ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে বিক্রি করে। বয়স্ক, শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই একসাথে ইফতারির খাবার খায়। সারাদিন রোজা রেখে এইসব বাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ডাইরিয়া, গ্যাস্ট্রিক ও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে পারে সাধারণ মানুষ। তাই বাজার মনিটরিং করা একান্ত জরুরি।
বারী জীবন
শিক্ষার্থী, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ
দেশে বেকারত্ব বাড়ছে
বাংলাদেশে প্রতিবছর বেকারত্বের হার দ্রম্নত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। অথচ এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন আরো দ্রম্নততর হতো। যেখানে শিক্ষিত হয়েও বেকার থাকতে হয়, সেখানে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। বেকারত্ব সমস্যা নিরসনে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ১. কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে। ২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ৪. ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। ৫. উন্নত বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার মানদন্ড এবং কারিকুলাম আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৬. নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। ৭. শিক্ষাখাতে পরিকল্পিত বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। ৮. দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৯. শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। ১০. সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে হয়তো শিক্ষিত সমাজকে আর বেকারত্বের অভিশাপে পড়তে হবে না।
শুভ সরকার
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জলদসু্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার নয়, এটি বাংলাদেশের হাজারো জেলের জীবন-জীবিকার উৎস। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জলদসু্যদের পুনরুত্থান এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে। দসু্যদের ভয়ে বহু জেলে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে শুধু তাদের আয়-রোজগারই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, দেশের মৎস্য খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুন্দরবনের জেলেরা মাছ ধরতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই জলদসু্যরা নৌকা আটকিয়ে মুক্তিপণ আদায় করছে এবং নৌকায় থাকা মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করছে, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। একসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে সুন্দরবন দসু্যমুক্ত হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
সুন্দরবন রক্ষা মানেই শুধু প্রকৃতি রক্ষা নয়, এটি হাজারো জেলের জীবন ও দেশের অর্থনীতি রক্ষার লড়াই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সুন্দরবন অঞ্চলের জেলেদের নিরাপদ জীবিকা নির্বাহ যেমন কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে পাশাপাশি সুন্দরবনের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সংকট দ্রম্নত প্রতিকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ