রাজধানী ঢাকায় যানজট এখন প্রতিদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ জরুরি কাজে বের হয়ে আটকে পড়ছে অসহনীয় যানজটে। ঢাকার প্রধান সড়কগুলো দিনের বেশিরভাগ সময় যানজটের কারণে অচল হয়ে থাকে। অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থা, ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করা, রাস্তার মাঝখানে অবৈধ পার্কিং এবং নির্মাণকাজের অব্যবস্থাপনা যানজটকে তীব্রতর করছে। বাস ও রিকশার অসম প্রতিযোগিতা, ফুটপাতে দখলদারিত্ব এবং ট্রাফিক সিগন্যালের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে। এর ফলে কর্মঘণ্টার অপচয় যেমন বাড়ছে, তেমনই উৎপাদনশীলতাও কমে যাচ্ছে। অফিসে সময়মতো পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে দেরিতে পৌঁছাচ্ছে, এমনকি জরুরি চিকিৎসাসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। যানজটের ফলে পেট্রোল ও ডিজেলের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ দূষণকেও বাড়িয়ে তুলছে। এই যানজট এখন শুধুই রাস্তায় আটকে থাকা কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ নয়; এটি অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও নাগরিক স্বাধীনতার ওপর নীরব এক আঘাত। তাই অবিলম্বে এই অসহনীয় যানজট সমস্যার সমাধান করতে কঠোর, সুনির্দিষ্ট ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ
ফার্মেসির বিড়ম্বনা
সকল পণ্যের উর্ধ্বমুখী দামের বাজারে ওষুধ ও ওষুধ সামগ্রীর দাম ও দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি ফার্মেসিগুলোতে বেড়েছে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন ও ভেজাল ওষুধের পরিমাণ। তবে বর্তমানে আরো বিড়ম্বনার কারণ খুচরা ওষুধ বিক্রি না করতে চাওয়া। অনেক সময় ক্রেতাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল দরকার হয়, কিন্তু ফার্মেসি শুধুমাত্র পুরো পাতাসহ (স্ট্রিপ) বিক্রি করতে চায়। ফলে গ্রাহককে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ওষুধ কিনতে হয়, যা অর্থ ও সম্পদের অপচয় করে। এছাড়াও দরিদ্র রোগীদের জন্য বাড়তি খরচ হয়ে যায়। তাই সরকার ও ওষুধ প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। খুচরা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝতে পারে।
রাকিব হাসান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ