বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র

আরিফ আনজুম, সহকারী শিক্ষক, আমতলী মডেল স্কুুল, শিবগঞ্জ, বগুড়া য়
  ১৬ জুন ২০২২, ০০:০০
এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র
এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র

আজ তোমাদের জন্য মডেল টেস্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

ঘ. উদ্দীপকটি 'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পের মূলভাবকে আংশিকভাবে ধারণ করে।

'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার অপরাপর সাহিত্যকর্মের মতোই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করেছেন। গল্পের অধিকাংশজুড়ে আছে ছোট দুটি ভাই-বোনের দুরন্তপনা আর তাদের মধ্যকার খুনসুটি। আমের কুসি খাওয়াসহ নানা প্রকার দুষ্টুমি করে মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়েই। অন্যদিকে গৃহিণী সর্বজয়া সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে হরিহর।

উদ্দীপকে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কর্মব্যস্ত নর-নারীর জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। মকবুল, আবুল, সুরত সবাই পরিশ্রমী। নানা কাজ করে জীবন ধারণ করে। তাদের স্ত্রীরাও একটু উন্নতির আশায় পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় সবজি ফলায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। উদ্দীপকে তাই বর্ণিত হয়েছে এদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম, যা 'আমা-আঁটির ভেঁপু' গল্পেও লক্ষণীয়।

'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পের মূল বিষয়ই হলো প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের কাহিনী। তাদের দুরন্তপনার বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে গ্রামীণ জীবনের চিত্রও উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনচিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে, যা কেবল 'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পের একটি দিককে ধারণ করে। শৈশবের উদ্দামতার বিষয়টি উদ্দীপকে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। তাই উদ্দীপকটি 'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পের সম্পূর্ণ মূলভাবকে ধারণ করতে পারেনি।

৪। হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এতে মাত্র চলিস্নশ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তার বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি একপর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আলস্নাহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আলস্নাহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ওই চলিস্নশ জন বাদে সব অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায়।

ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?

খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে কী বোঝায়?

গ. হযরত নূহু (আ.) যে দিক দিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা করো।

ঘ. হযরত নূহু (আ.)-এর চরিত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে তার মাঝেও হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একটি বিশেষ গুণ ফুটে উঠত? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তর :

ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।

খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে লেখক অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নিপীড়নের জবাবে ভালো ব্যবহার ও মনুষ্যত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়েছেন।

মুহম্মদ (স.) মানবতার জন্য কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করলেও বারবার তিনি বৈরিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পৌত্তলিকের প্রস্তরাঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। সত্য প্রচারের জন্য তায়েফে গমন করলে শত্রম্নর নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কারও প্রতি তার ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা কোনোটিই ছিল না। জয়ীর আসনে বসার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তার ভেতরকার বিরাট মনুষ্যত্ববোধের কারণেই এই সুমহান প্রতিশোধ নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

গ. হযরত নুহু (আ.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আলস্নাহর কাছে ফরিয়াদ করলেও মুহম্মদ (স.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।

'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধে লেখক মুহম্মদ (স.)-এর অসাধারণ গুণাবলির উলেস্নখ করেছেন আদর্শ মহামানব হযরত মুহম্মদ (স.) বিশ্বকে জয় করেছিলেন তার মানবিক গুণাবলি দ্বারা।

মানুষের জন্য তিনি দিওয়ানা ও কল্যাণকামী হলেও তার চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তাকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিক-মানসিক সব ধরনের নির্যাতনে তাকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। এত কিছুর পরও তিনি প্রাণের শত্রম্নদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। মহান আলস্নাহর কাছেও কারও বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করেননি।

হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে সবাইকে আহ্বান জানালেও মাত্র ৪০ জন মানুষ তার আহ্বানে সাড়া দেয়। অন্যরা তার বিরোধিতা এবং অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেলে নূহু (আ.) তাদের বিরুদ্ধে আলস্নাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। ওই ৪০ জন বাদে বাকিদের আলস্নাহ ধ্বংস করে দেন। তাই এ ক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর থেকে হযরত নূহু (আ.)-এর ভিন্নতা আমরা লক্ষ্য করি।

\হ

ঘ. হযরত নূহু (আ.) যদি আরও ধৈর্য ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করতেন তাহলে মহানবী মুহম্মদ (স.)-এর বিশেষ গুণটি তার মধ্যে ফুটে উঠত।

মানুষ মুহম্মদ (স.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। মানবীয় সব শ্রেষ্ঠ গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তার চরিত্রে। ভালোবাসা, কল্যাণকামিতা, ধৈর্য ও ক্ষমার মহৎ গুণ আজও পৃথিবীতে উদাহরণ হয়ে আছে। অথচ তার জীবনের মহৎ আদর্শকে গ্রহণ না করে কুরাইশরা তার বিরোধিতা করে নির্যাতন-নিপীড়নের পথ বেছে নেয়। পাথরের আঘাতে তাকে বারবার রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তিনি কখনোই শত্রম্নদের...

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে