বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
  ১০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান
৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

আকাশ কত বড়?

প্রশ্ন : গ্রহ কী?

1

উত্তর : সৌরজগতের যেসব জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পথে চলাচল করে তাকে গ্রহ বলে। সৌরজগতের মোট গ্রহ হচ্ছে ৮টি। যেমন : বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।

প্রশ্ন : উপগ্রহ কী?

উত্তর : যেসব বস্তু গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে তাদের উপগ্রহ বলে। যেমন : চাঁদ। এর নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্য থেকে এটি আলো পায়।

প্রশ্ন : নক্ষত্র কী?

উত্তর : যেসব জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো আছে তাদের নক্ষত্র বলে। যেমন : সূর্য, তারা।

প্রশ্ন : গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ কী?

উত্তর : কতগুলো গ্রহ-উপগ্রহ এবং নক্ষত্র নিয়ে যেমন একটি সৌরজগৎ গঠিত হয়ে থাকে তেমনি এরকম অসংখ্য সৌরজগৎ, ধূলিকণা, পস্নাসমা এবং প্রচুর পরিমাণে অদৃশ্য বস্তু নিয়ে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি গঠিত হয়।

প্রথম সেশন :

প্রশ্ন : দিনের আকাশে আমরা কী কী দেখি? রাতের আকাশে আমরা কী কী দেখি?

উত্তর :

দিনের আকাশে আমরা যা যা দেখতে পাই তা হলো :

আকাশ

সূর্য

মেঘ

বৃষ্টি

পাখি

রকেট ইত্যাদি।

রাতের আকাশে আমরা যা দেখতে পাই :

আকাশ

চাঁদ

তারা/নক্ষত্র

গ্যালাক্সি

গ্রহ

উপগ্রহ ইত্যাদি।

২য় ও ৩য় সেশন :

প্রশ্ন : বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে? নাকি শুধু মানুষের কল্পনা?

উত্তর : বিগ ব্যাং তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন (এক হাজার চারশত কোটি) বছর আগে পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মান্ড একটি বিন্দুতে ছিল। অবিশ্বাস্য একটি বিস্ফোরণের সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মান্ডের রূপ নিয়েছে। সেই বিস্ফোরণটির নাম বিগ ব্যাং।

পৃষ্ঠা - ১০ উত্তর :

প্রশ্ন : মহাবিশ্বের সৃষ্টির পর নক্ষত্রের জন্ম কী করে হলো?

উত্তর : বিগ ব্যাংয়ের পর বিশ্বব্রহ্মান্ডে প্রথমে ছিল শক্তি এবং তারপর তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেন। এই হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাস পিন্ডের আকার নেয়, এই গ্যাস পিন্ডকে বলে নেবুলা। সেই নেবুলাতে যথেষ্ট গ্যাস থাকে এবং একপর্যায়ে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন হাইড্রোজেন একটি অন্যটার সঙ্গে নিউক্লিয়ার ফিউসান নামে একটি বিক্রিয়া করে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। এর ফলে নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।

প্রশ্ন : নক্ষত্রের জ্বালানিও কি এভাবে ফুরিয়ে যেতে পারে?

উত্তর : হঁ্যা, নক্ষত্রের মধ্যে থাকে হাইড্রোজেন গ্যাস। হাইড্রোজেন গ্যাসের পরিমাণ কমে গেলে নক্ষত্রের জ্বালানিও ফুরিয়ে যাবে।

প্রশ্ন : নক্ষত্রের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে তার আসলে কী হয়?

উত্তর : যখন হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষ হয়ে যায় তখন নক্ষত্র ফুলে-ফেঁপে নিষ্প্রভ হয়ে মৃতু্যবরণ করে।

৪র্থ সেশন :-

পৃষ্ঠা - ১২ উত্তর :- গল্প

এক রাজ্যে এক ধনুকধারী ছিল। অহংকারে তার পা মাটিতে পড়ত না। সে পৃথিবীর সব প্রাণিকূলকে তুচ্ছ মনে করত। তার অহংকার এতটাই বেড়ে গেল, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণিকূলের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে লাগল। দেবতারা ক্ষুব্ধ হয়ে একটা সর্প পাঠালেন ধনুকধারীকে হত্যা করার জন্য। সেই সর্পের দংশনে মৃতু্যবরণ করল অহংকারী ধনুকধারী।

পৃষ্ঠা - ১৫ উত্তর :

হ আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন কী কী চোখে পড়ছে বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে? উল্কা, ধ্রম্নবতারা ও শুকতারা।

দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা যায় না কেন?

মাঝেমধ্যে আকাশ থেকে তারা খসে পড়তে দেখা যায় কেন?

হ এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় আসছে? আকাশের শেষসীমা যদি জানতে পারতাম?

হ প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার- রাশিচক্র বা ভাগ্য গণনা

হ তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?

আমি সবাইকে বোঝাবো, এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাছাড়া ধর্মীয়ভাবেও এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।

বাংলা বর্ষপঞ্জি

জ্যোতিয়বিদ্যা বা ভাগ্য গণনা

কীভাবে এলো?

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

দিনসমূহকে হিসাব করার জন্য

ভাগ্য গণনার জন্য

বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?

আছে

নাই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে