শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

অষ্টম শ্রেণির বাংলা

মোচ্ছা. রুবিনা খাতুন, সহকারী শিক্ষক, দখিনা রূপকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাগাইছড়ি, রাঙামাটি
  ১৪ মে ২০২৪, ০০:০০
অষ্টম শ্রেণির বাংলা

তৃতীয় অধ্যায় : তৃতীয় পরিচ্ছেদ

প্রশ্ন: রাক্ষসের গিলে খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন ফিরে আসবে। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

উত্তর:

কথাটি বলেছে "অপারেশন কদমতলী" গল্পের দাদি চরিত্রটি। হানাদার পাক-বাহিনীর দ্বারা কদমতলী এলাকার অসংখ্য মানুষের শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে এ কথাটি বলেছিলেন দাদি।

এখানে রাক্ষসের গিলে খাওয়া মানুষগুলো দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন শুধুমাত্র দেশকে শত্রু মুক্ত করার জন্য। এসব শহীদ হওয়া মানুষেরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের আপামর জনতা দেশকে শত্রু মুক্ত করার জন্য ঝাপিয়ে পড়বে।

সুতরাং, বলা যায় "অপারেশন কদমতলী" গল্পের দাদি চরিত্রের এই কথাটির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।

প্রশ্ন: এ যুদ্ধকে বলে গেরিলা যুদ্ধ। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

উত্তর:

কথাটি বলেছে "অপারেশন কদমতলী" গল্পের দাদি চরিত্রটি। গেরিলা যুদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধের চিত্র মুহুর্তের মধ্যে পরিবর্তন করে দিতে পারে। গেরিলা যুদ্ধারা সংখ্যায় কম হয়ে থাকে এবং তারা সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে না কিন্তু শত্রু বাহিনীর উপর অর্তকিত হামলা করে শত্রু বাহিনীর রণকৌশল একেবারে ধ্বংস করে দিতে পারে।

সুতরাং বলা যায়, দাদি চরিত্রের এই কথাটির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।

প্রশ্ন: বেশি দিন আর নেই।

কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

কথাটি বলেছেন গল্পের শাফি ভাই।

উত্তর:

এ কথাটি দ্বারা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বিজয়ের আভাসকে ইঙ্গিত করে। এ কথাটি বলেছে শাফি ভাই। "অত্যাচারী রাজা ইয়াহিয়া আর তার মন্ত্রি টিক্কা খানের রাজত্ব গেল বলে" মূলত উপরিউক্ত কথাটির নির্দেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় শাফি ভাইয়ের কথাটি প্রাসঙ্গিক।

প্রশ্ন: পাবে কী করে? ভাইয়েরা জব্বর চালাক।

কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

উত্তর:

কথাটি গল্পের চন্দন চরিত্রটি।

উদ্দীপকের কথাটি দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের কৌশল সফল বাস্তবায়নকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মুক্তযোদ্ধারা শত্রু বাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে কেউ চাষি, কেউ মাঝি, কেউ জেলেদের মতো সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়েছে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে চন্দনের কথায় প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।

প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি পৃষ্ঠা ১৩, ১৪

১.৪: যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ

এই পাঠটি পড়ার আগে তোমাদের কিছু বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। নিচে সেগুলো দেয়া হলো-

সর্বনাম: নামের পরিবর্তে যে সকল শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে।

যেমন: হস্তী প্রাণীজগতের সর্ববৃহৎ প্রাণী। তার শরীরটা যেন বিরাট এক মাংসের স্তুপ।

এখানে 'তার' শব্দটি সর্বনাম।

কবির ক্লাসের মেধাবী ছাত্র।

সে প্রতিদিন স্কুলে আসে।

সর্বনাম তিন প্রকার:

সর্বনাম: নামের পরিবর্তে যে সকল শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে।

যেমন: হস্তী প্রাণীজগতের সর্ববৃহৎ প্রাণী। তার শরীরটা যেন বিরাট এক মাংসের স্তুপ।

এখানে 'তার' শব্দটি সর্বনাম।

কবির ক্লাসের মেধাবী ছাত্র।

সে প্রতিদিন স্কুলে আসে।

সর্বনাম তিন প্রকার:

১। সাধারণ সর্বনাম: যে সর্বনামগুলো আপন পরিবেশে অর্থাৎ ভাই-বোন, বাবা-মা, বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কথা বলতে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে সাধারণ সর্বনাম বলে।

যেমন: তুমি, তোমরা, সে, তারা ইত্যাদি।

২। মানী সর্বনাম: যে সর্বনামগুলো বয়সে বড় কিংবা অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে মানী সর্বনাম বলে।

যেমন: আপনি, আপনারা, তিনি, তাঁরা ইত্যাদি

৩। ঘনিষ্ঠ সর্বনাম: কারো সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠতা বুঝাতে অথবা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয় তাকে ঘনিষ্ঠ সর্বনাম বলে।

যেমন: তুই, তোরা, ও, ওরা ইত্যাদি।

প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি পৃষ্ঠা ১৩, ১৪ সমাধান

১. ও দাদি, তোমার হলো কী?

এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

--সাধারণ সর্বনাম।

মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--ও দাদি, আপনার হলো কী?

ঘনিষ্ঠ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--ও দাদি, তোর হলো কী?

২. মান্না সঙ্গে সঙ্গে চেঁচায়।

এখানে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?

--সাধারণ ক্রিয়ারূপ।

মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--মান্না সঙ্গে সঙ্গে চেঁচান।

৩. রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখিস ঠিক ফিরে আসবে।

এখানে বাক্যের মাঝে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?

--ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ।

সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখো ঠিক ফিরে আসবে।

মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখবেন ঠিক ফিরে আসবে।

৪. তোকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?

এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

--ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।

সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--তোমাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?

মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--আপনাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?

৫. ঠিক আছে, চল ঘুমাতে যাই।

এখানে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?

--ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ।

সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--ঠিক আছে, চলো ঘুমাতে যাই।

মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--ঠিক আছে, চলেন ঘুমাতে যাই।

৬. তুই যা।

এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

--ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।

মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--তুমি যাও।

সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--আপনি যান।

৭. খাল আর বিল পেরিয়ে তারা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে।

এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

--সাধারণ সর্বনাম।

মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--খাল আর বিল পেরিয়ে তাঁরা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে।

৮. তুই অপারেশনে অংশ নিয়েছিস!

এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

--ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।

মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--আপনি অপারেশনে অংশ নিয়েছেন!

সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?

--তুমি অপারেশনে অংশ নিয়েছিলে!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে