গানে গানে ৩০ বছর...
আমি শুরুতেই মহান আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে তিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। আসলে দেখতে দেখতে ৩০টি বছর পার হয়ে গেল। এ উপলক্ষে 'আমরা সূর্যমুখী' সংগঠনের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সেলিম চাচাকে আমার ত্রিশ বছরের পথচলাকে উৎসবে পরিণত করার জন্য। নিঃসেন্দহে আজ আব্বু বেঁচে থাকলে অনেক অনেক খুশি হতেন। তবে আমি বিশ্বাস করি আব্বু আছেন তার গানের মধ্যদিয়ে সবার মনে প্রাণে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে।
গানের ৩০ বছর পূর্তি...
আমার গানের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে 'আমরা সূর্যমুখী' সংগঠনের উদ্যোগে আগামীকাল (আজ) সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিনোদন সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আ আ ম স আরিফিন সিদ্দিক, জীবন্ত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, গীতিকার শহীদুলস্নাহ ফরায়েজী, প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিপস্নব সাহা'সহ বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এই আসরে কবি আমিনা রাজ্জাকের কবিতার বই 'অপেক্ষার সোনালী মোহনায়' এর মোড়ক উন্মোচনের কথা রয়েছে।
সংগীত সন্ধ্যায়...
কালকের (আজকের) অনুষ্ঠানে আমি আব্বুর লেখা পুরানো দিনের কিছু গান শ্রোতা দর্শককে শোনাব। সেই সঙ্গে কিছু গান লিখে গেছেন, সেসব গানও শোনাব। আমার সঙ্গে অপু, ইউসুফও গাইবে। সবাইকে বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি অনুষ্ঠানে আসার জন্য। আশা করছি আজকের আয়োজন উপভোগ্য এবং স্মরণীয় হয়ে উঠবে।
বাবার কাছে গানের হাতেখড়ি...
আমার গানে হাতেখড়ি আট বছর বয়সে। বাবাই আমাকে জন্মদিনে হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিলেন সেই বয়সে। শুরুতেই ওস্তাদ ইয়াসিন হোসেন খানের কাছে গানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছিলাম। বাবা সিনেমার জন্য প্রচুর গান লিখেছেন। 'উল্কা' সিনেমায় আমি প্রথম পেস্ন-ব্যাক করি। সেই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। দ্বৈত গানে আমার প্রথম সহশিল্পী ছিলেন পলাশ। এরপর ৬০-এরও অধিক সিনেমাতে পেস্ন-ব্যাক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার চারটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
বাবার লেখা নতুন গানে..
বাবার লেখা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তার লেখনী সম্পর্কে শ্রোতা-দর্শকরা অবগত আছেন। বাবার লেখা 'দিঠির খাতা'য় আমার জন্য ১৭টি মৌলিক গান লেখো আছে। সেখান থেকে চার/পাঁচটি গানের কাজ সম্পন্ন করেছি। সুর করেছেন আহমেদ কিসলু, অপু আমান।
'আমার বাংলাদেশটা'...
আমি ও আরমান (সুরকার আলম খানের ছেলে) প্রথমবার একসঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গানের শিরোনাম 'আমার বাংলাদেশটা'। বাবার লেখা এই গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আরমান নিজেই। গানটির রিদম প্রোগ্রামিং করেছেন অমিত চ্যাটার্জি, সাউন্ড পুলক বড়ুয়া। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন রায়হান খান। গানটি গত মাসে জি সিরিজের মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে।