সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

মৌলিক গান লাইভ রেকর্ড করা অনেক চ্যালেঞ্জিং

পার্থ বড়ুয়া- দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। একাধারে গীতিকার, গায়ক, সুরকার, সঙ্গীতায়োজক, গিটারিস্ট এবং অভিনেতা। বৈচিত্র্যমুখী এই প্রতিভা তার সোলস-এর সামগ্রিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে তাদের নতুন ৯টি গান প্রকাশ পেয়েছে। এবার বছরের শুরুতেই এনেছেন 'নতুন শহর' নামে একটি গান। বেশ সাড়া ফেলেছে এ গানটি। সোলসের নেতৃত্বে থাকা পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
পার্থ বড়ুয়া

গান নিয়ে কী রকম ব্যস্ততা যাচ্ছে এখন?

আপনারা তো জানেনই যে, আমাদের নতুন প্রজেক্ট সম্পর্কে। গত বছর থেকেই নেওয়া এ প্রজেক্টের আওতায় ৫০টি গান করার ইচ্ছে রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কটি গান প্রকাশও হয়ে গেছে। গানগুলো হলো- 'নতুন শহর', 'বিনিময়', 'হাওয়াই মিঠাই', 'সাগরের প্রান্তরে', 'যত প্রেম', 'বন্ধ হয়ে গেছে', 'যদি দেখো', 'রিকশা' ও 'কিতা ভাইসাব' প্রভৃতি।

বর্তমান সময়ের গানের পরিবর্তনগুলো কেমন চোখে পড়ছে?

আসলে বর্তমান ডিজিটাল সময়ে ্‌অনেক নতুন কিছুই হচ্ছে। হবেও অনেক নতুন কিছু। সেই ভাবনা থেকেই আমাদেরও লাইভ রেকর্ড করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন রিয়েলিটি শোয়ে দেখি, লাইভ গান করেন প্রতিযোগীরা। তবে মৌলিক গান লাইভ রেকর্ড করা অনেক চ্যালেঞ্জিং।

আগে অল্প সময়ের ব্যবধানে নতুন গান আনতেন- এখন হয় না কেন?

কোথায় আনতে পারছি না! আমরা তো অলরেডি নতুন, নতুন গান ছাড়ছি। আমরা পস্ন্যান নিয়েছি প্রতি ১৫ দিন অন্তর-অন্তর একটা করে নতুন গান আনার। প্রতি দুই মাসে আমরা তিনটা/চারটা করে গান আনব। এর চেয়ে তাড়াতাড়ি কী আর হবে। মাঝে একটা গ্যাপ গেলেও আবার আমরা অল্প সময়ের ব্যবধানে নতুন, নতুন গান আনার পস্ন্যান নিয়ে ফেলেছি। এ নিয়ে আমাদের কাজ অলরেডি শুরুও হয়ে গেছে।

এক সময়ে ব্যান্ডে সুন্দর-সুন্দর কথা থাকত- এখন বাদ্যপ্রধান হয়ে যাওয়ার কারণ কি?

এটা হচ্ছে যুগের প্রতিফলন। একেক সময়ে একেক রকমের মিউজিক হয়। মিউজিকের এই একেকটা ধরনও পাল্টায়। একসময় এক রকমের মিউজিক হতো এখন অন্য রকম হচ্ছে, এটাই হচ্ছে বিষয়। যুগের চাহিদাটাও তো পাল্টে যায়। কাজেই এখনকার গানগুলো ভালো হচ্ছে না- এটাও বলা ঠিক না। তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। এর জন্য আমাদেরও একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সময় গেলে বোঝা যাবে আসলে কী হচ্ছে।

ধরেন কিশোর কুমারের মধুর গান- এগুলো অতিরিক্ত বাদ্যযন্ত্রে ভালো শোনাবে?

একেকটা গান তো একেক রকম হয়। এটা ডিপেন্ড করে শ্রোতার ওপর। দর্শক-শ্রোতাও একেক রকম হয়। দর্শকের জায়গায় যেমন চেঞ্জ হচ্ছে, শ্রোতার জায়গায়ও তো চেঞ্জ হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কনটেম্পরারির একটা হিসাব তো আছেই। এখন কি পঞ্চাশ বছর আগের গান পঞ্চাশ বছর পরে কেউ শুনবে কিনা সেটা শ্রোতার ব্যাপার। তাতে আমরা কী করে জাজমেন্ট দিব? কথা হলো সময় তো পাল্টায়। সে ক্ষেত্রে এই পাল্টানোটা মেনে নিতে হবে। আগেও যেমন সব গানই ভালো হতো না এখনো সব গান খারাপ হয় না। আগেও ভালো হতো এখনো ভালো হয়। এখন সবই যে খারাপ হয়, তাও তো নয়। আসলে সময়ের সঙ্গে সবাইর দৃষ্টিভঙ্গিটাও পাল্টানো উচিত।

আপনি অভিনয়ও করেন- নতুন কোথা অভিনয় করছেন?

আমি আপাতত অভিনয় করছি না। কারণ, সময়ের অভাবে সেই সুযোগও হচ্ছে না। আমি এখন নিজেকে পুরোপুরিই গানে আত্মনিয়োগ করেছি। এখন আমাদের গান ছাড়তে হচ্ছে প্রতি ১৫ দিনে একটা করে। এখন আমি এই গান নিয়েই থাকতে চাই। এজন্য এ মুহূর্তে আমার পক্ষে অভিনয় করাও সম্ভব নয়।

কয়েকটি ওয়েব সিরিজেও তো ভালো প্রশংসা পেয়েছেন!

এটা আমার প্রতি দর্শকের ভালোবাসা থাকার কারণেই হয়েছে। দর্শকদের ভালোবাসার জন্য আমার এ পর্যন্ত আসা। আমি শুধু চেষ্টা করি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। এর বেশি কিছু না। সবচেয়ে বড় কথা হলো উপভোগ করতে না পারলে আমি অভিনয় করি না।

একসময় তো টিভি নাটকে নিয়মিত ছিলেন।

তখন টেলিভিশনে বেশ ভালো কাজ হতো। পরে কিন্তু টিভি নাটকের সেই মান ধরে রাখতে পারেনি। দর্শক ভালো কাজ না হলে এমন নাটক দেখবে কেন? আর ভালো নাটক হবেই বা কি করে। নাটক নিয়ে যে পড়াশোনা করার দরকার সেই আগ্রহটাও তো এখন নির্মাতাদের কমে গেছে। তবে এখন ওয়েবসিরিজ ভিত্তিক কাজ ভালো হচ্ছে।

নতুন কোনো সিনেমায় দেখা দিচ্ছেন?

সেরকম স্ক্রিপ্ট পেলে কেন নয়। 'মেড ইন চিটাগাং' এর পর অবশ্য নতুন কোনো সিনেমায় যুক্ত হইনি। স্ক্রিপ্ট ভালো না হলে তো আমি যেখানে-সেখানে অভিনয় করতে পারি না। এই যেমন 'আয়নাবাজি' অনেক সফল একটি সিনেমা। অনেক দর্শকই এ সিনেমায় আমার অভিনয় প্রশংসা করেছে। এখনো পাচ্ছি।

এখন কি গানেই আবার নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দিলেন?

সে তো বটেই। নতুন করে যখন গান রেকর্ডিংয়ের ব্যস্ততায় সময় দিচ্ছি তখন তো এদিকটায় তো মনোনিবেশ করতেই হবে। সামনে আরও অন্যান্য দেশে আমাদের নতুন গান নিয়ে যাব। এজন্য এখানে তো কিছুটা ব্যস্ত থাকতেই হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে