শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যাপক প্রস্তুতি

বেনাপোল-মোংলা হয়ে খুলনা থেকে ঢাকা রুটে গড়ে উঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন হ সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে পরিবেশ সুরক্ষাসহ পরিকল্পিত বিনিয়োগ হ শিল্পায়নের পাশাপাশি গড়ে তোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামো
ম রেজা মাহমুদ
  ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ০২ জুলাই ২০২২, ০৯:১১

২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপির ৩ শতাংশ এফডিআই বা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। যা বর্তমানে এক শতাংশের কম রয়েছে। তবে পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই এই অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা। সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) 'সাউথ ওয়েস্ট ইকোনমিক জোন' শীর্ষক একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। যেখানে বেনাপোল থেকে মোংলা বন্দর হয়ে খুলনা ও ঢাকা রুটে অর্থনৈতিক জোন গড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিল্পায়ন ছাড়াও বিভিন্ন আর্থ-সামজিক খাতে বিনিয়োগের পরামর্শও সেখানে রয়েছে। শিগগিরই এখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই অঞ্চলে শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। গুরুত্ব পাবে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক খাতে বিনিয়োগ। পদ্মা সেতু চালুর ফলে এই অঞ্চলে দেশি-বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি বলছে, ইতোমধ্যেই রাজশাহী, শরীয়তপুর ও যশোরে ইকোনমিক জোনগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে পরিকল্পিত বিনিয়োগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যায়ন মো. সিরাজুল ইসলাম যায়যায়দিনকে জানান, করোনার কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা থমকে গেলেও সামনের দিনগুলোতে এর পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যেখানে সেখানে শিল্পায়ন করার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। তাই শিল্পায়ন করতে হলে নির্দিষ্ট স্থানেই করতে হবে। ইকোনমিক জোনের পাশাপাশি স্থানীয় বিসিক অঞ্চলগুলোকেও সক্রিয় করা হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'আমরা এর আগে জায়গার অভাবে অনেক বিনিয়োগ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। সৌদিসহ অনেকেই আমাদের কাছে জায়গা চাইলেও বরাদ্দ দেওয়া যায়নি। তবে পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণে বিশাল অঞ্চল এখন বিনিয়োগের জন্য খুলে গেছে।' এছাড়াও দেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। জায়গা পেলেই কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যাবে না। অবশ্যই তাকে কোনো একটা শিল্প-জোনে বিনিয়োগ করতে হবে। এদিকে বিডার তথ্যমতে বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে সবচেয়ে এগিয়ে চীন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ পর্যন্ত চীনের প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ নথিভুক্ত হয়েছে। এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ নথিভুক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ যে উন্নত হয়েছে এগুলো বিদেশিদের জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে