শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে টাকা পাচার 'সাত শতাংশ কর দিয়ে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো'

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, 'চুরি করা টাকা ফেরানোর জন্য পাচার করেননি পাচারকারীরা। সাত শতাংশ কর দিয়ে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো। যদি কিছু আসে তাই লাভ। এতে বড় ধরনের লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না। হয়তো কেউ যদি ১০০ টাকা পাচার করে ১০ টাকাও ফেরত নিয়ে আসেন তাতেও লাভ।'

শুক্রবার এফডিসি ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত 'এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক' শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সব কথার একটাই কথা আমরা বাংলাদেশি। বাংলাদেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে অবৈধ উপায়ে বেগমপাড়া কিংবা বিভিন্ন

বনে-জঙ্গলে থেকে কী লাভ! বাংলাদেশে থাকার মধ্যে যে শান্তি পৃথিবীর অন্য কোথাও তা নেই।

এম এ মান্নান বলেন, দাতা সংস্থা বা দাতা দেশ বলতে কিছু নেই। এখন আর আমরা দান-খয়রাত গ্রহণ করি না। আমরা ঋণ নেই। এটা আমাদেরই টাকা। অনেকে বিপদে সহযোগিতা করেন, সেটা বন্ধুত্বের খাতিরে করে থাকেন। আমরাও অনেক সময় অনেক দেশকে অনুদান দেই।

আমাদের অনেক বড় অর্জন আছে, লজ্জাও আছে উলেস্নখ করে এম এ মান্নান বলেন, শিক্ষক হত্যা, শিক্ষককে জুতার মালা পরানো- এটা অনেক বড় লজ্জা। ঢাকায় দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী লাঠি নিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক গ্রম্নপকে আরেক গ্রম্নপ ধাওয়া করে, সেটা কোনো দেশে নেই। পাকিস্তানেও এই চিত্র দেখা যায় না। আমাদের এখানে বাল্যবিয়ে হয়। এসব বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এবারের বাজেটকে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই এই বাজেটে। ব্যক্তিকরে নেই কোনো ছাড়, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের জন্য তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বর্ধিত ভাতার পরিমাণ যৎসামান্য। স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে বরাদ্দ খুবই কম, নেই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুস্পষ্টতা।

ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় সরকারি তিতুমীর কলেজ এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ছায়া সংসদে বিজয়ী হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক রিজভী নেওয়াজ, আরিফুর রহমান ও কাবেরী মৈত্রেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে