রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বসবাসরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিনুল ইসলামের গন্তব্য বাড্ডায়। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে অন্যদিনের মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করতে গিয়ে অনেকটা অবাক হলেন তিনি। রাতের ব্যবধানে এই বাহনটিতে ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অথচ ডিজেল, অকটেন, পেট্রলের দাম বাড়লেও গ্যাসের দাম বাড়েনি।
শনিবার সকালে রাজধানীতে সব ধরনের যানবাহনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
গ্যাসের দাম না বাড়লেও ভাড়া কেন বাড়ল জানতে চাইলে একজন সিএনজিচালক বলেন, 'রাস্তায় তো গাড়ি নাই, ভাড়া তো একটু বেশি হইবৌ। বাসে তো দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাইতে হইতাছে, ওরা একবাসে লোক দিচ্ছে ৫০ জনের বেশি। কিন্তু আমি তো একজন নিয়াই চালাইতাছি, তাইলে আমার এইখানে দাম বাড়বো না কেন। পাবলিকের যত সমস্যা সিএনজির সঙ্গেই।'
এদিকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে
সৃষ্টি পরিস্থিতির জন্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
রাজিউল হাসান নামের একজন গণমাধ্যমকর্মী লিখেছেন, 'আজ রাজধানীসহ সারা দেশে যে পরিবহণের সংকট চলছে, তা কিন্তু জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নয়। মানবসৃষ্ট এই সংকট পরিবহণ ভাড়া বাড়াতে। মজার বিষয় হলো, ডিজেল-পেট্রোলের দাম বেড়েছে কাল রাতে, আর আজ সকালেই বেড়ে গেছে রিকশা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া। এভাবে অচিরেই আমাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সবকিছুর ব্যয় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বাড়বে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়বে না।'