শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

'বাড়বে জনদুর্ভোগ সংকটে পড়বে পরিবহণ খাত'

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে মনে করছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবহণ ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। পরিবহণ খাতে অস্থিরতা দেখা দেবে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে শনিবার গণমাধ্যমের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছির বাড়ানো ফলে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ছোট ছোট শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

এতে একদিকে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি ওপর চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে বেকারত্ব সমস্যা আরও প্রকট হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত তেলের দাম যে পরিমাণ বাড়ে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি বাড়ে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহণ ভাড়া। পণ্য পরিবহণ ভাড়াও ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দেয় ট্রাক-কভার্ডভ্যান মালিকরা।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার ও পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতারা একচেটিয়াভাবে ভাড়া যে পরিমাণ বাড়ায় গণপরিবহণ তার কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া গণপরিবহণে আদায় হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা বা বর্ধিত ভাড়া আদায় বন্ধে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

এদিকে শনিবার এক বিবৃতিতে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি বলছে, আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। অনতিবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে, পূর্বের মূল্য বহাল করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছিল। তখন দাম নির্ধারণ করা হয় ৮০ টাকা লিটার। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাস ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ, লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো হয় ৩৫ শতাংশ যা তেলের দাম বাড়ানো হারের চেয়ে অনেক বেশি।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বিশ্ববাজারে বর্তমানে তেলের বাজার নিম্নমুখী। এই সময়ে বাজার পর্যবেক্ষণ না করে, কেবল আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। অনতিবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে, পূর্বের মূল্য বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে