ভূগর্ভস্থ উন্নয়ন কাজের জন্য উৎপাদন স্থগিতের ৫৫ দিন পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার খনি থেকে ফের কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, ভূগর্ভস্থ উন্নয়ন কাজের জন্য ১ মার্চ খনি থেকে উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছিল। আগামী ১৫ মে পুনরায় কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই সোমবার সকাল থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু করে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'এক হাজার ১১৩টি কয়লা ফেজ থেকে দৈনিক প্রায় ১৫০০-২০০০ মেট্রিক টন করে কয়েক সপ্তাহ কয়লা উৎপাদন চলবে। পরীক্ষামূলক উৎপাদন চালানোর পর, পূর্ণ উৎপাদনে গেলে এই খনি থেকে দৈনিক প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন সম্ভব হবে।'
বিসিএমসিএল সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ জুলাই খনির ১ হাজার ১১৩টি কয়লা ফেজের সড়ক উন্নয়ন শুরু হয়। কিন্তু ভূগর্ভস্থ রাস্তার উন্নয়নের সময় পরপর দুটি বড় ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় কর্তৃপক্ষ সেখানে কয়েকটি প্রযুক্তিগত সমস্যা শনাক্ত করে। পরে বিসিএমসিএল এবং ঠিকাদারি চীনা কোম্পানি সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম খনির সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাস্তার উন্নয়ন কাজ স্থগিত করে। পরে তারা কয়লা উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে ভূগর্ভস্থ নকশা পরিবর্তন করে।
অবশেষে গত ১ মার্চ বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ কয়লা উৎপাদন স্থগিত করে এবং ভূগর্ভস্থ ৯০ মিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের জন্য ভূগর্ভস্থ উন্নয়ন কাজ শুরু করে।
সাধারণত, দেশে বিদু্যতের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে গ্রীষ্মকালে কয়লার চাহিদা বেশি থাকে। পার্বতীপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাচালিত বড়পুকুরিয়া পাওয়ার পস্ন্যান্টে বিদু্যৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার প্রয়োজন হয়।
বিসিএমসিএলের
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখানে উৎপাদিত সব কয়লা পাওয়ার পস্ন্যান্টে সরবরাহ করা হবে। ১ হাজার ১১৩টি কয়লা ফেজের রিজার্ভ প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান পর্যায় থেকে কয়লা উৎপাদন চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত চলবে।