আজকের যায়যায়দিন

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। সে কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা নতুন এ দিন ধার্য করেন।

গত ২০ নভেম্বর দুপুরে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত থেকে আট জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ

এদিকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে ও মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবু্যনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যান।

এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছামাত্র আগে থেকেই দুটি মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের ৫ থেকে ৬ জন সদস্য ও আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০ থেকে ১২ জন সদস্য হামলা চালায়।

জঙ্গিরা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জঙ্গিদের এ কর্মকান্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করেন।