শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
ইসিকে ইইউ

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই

আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি :সিইসি
  ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই

ম বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ ভোট দেখার প্রত্যাশা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়ে ইইউকে আশ্বস্ত করেছেন।

বুধবার সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইইউ প্রতিনিধিরা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এদিন বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রগতি নিয়ে ইইউ জোটের রাষ্ট্রদূতরা বৈঠক করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইইউভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। প্রত্যাশা করি, পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়। ইসির সঙ্গে বিদ্যমান পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি 'না' বলে মন্তব্য করেন।

বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা সামগ্রিক বিষয় জেনেছি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের খুঁটিনাটি জানতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার দল খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।'

বিএনপি ও তার সঙ্গে থাকা দলগুলোর ভোট বর্জনের ডাকের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কীভাবে সম্ভব, সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন অবশ্য নেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত। আগে জানিয়ে দেন, তারা কোনো প্রশ্নের জবাব দেবেন না।

পরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, ইইউভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের ৯ জনের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। ইইউ প্রতিনিধিরা এর আগেও একাধিকবার এসেছেন। সহসাই তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন ২

\হটিম আসবে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের চারজনের এক্সপার্ট (ইলেকশন অবজারভার টিম) এসে গেছেন। তারা দীর্ঘসময় ধরে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। এরই মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে গেছে। এটা তো তারা জানতেন না, তারা আগেও এসেছেন। এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানিয়েছি।

গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছেন উলেস্নখ করে সিইসি বলেন, 'আমরা আগের মতো স্পষ্ট করে বলেছি- আমরা নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার, পিসফুল অ্যান্ড ক্রেডিবল যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দুই সপ্তাহ ধরে জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে গেছেন। তারা প্রশাসন ও জনগণকে এ বিষয়গুলো অবহিত করছেন। যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে, যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়।'

নির্বাচন কমিশনের অবস্থানে ইইউ সন্তুষ্ট বলে বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'তারা আমাদের বক্তব্যে যতদূর বুঝেছি সন্তুষ্ট হয়েছেন। একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেটা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি, আগেও বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমাদের এ সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা, এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।'

রাজনৈতিক বিষয়ে কমিশন নিজেদের সম্পৃক্ত করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সিইসি। হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'পলিটিক্যাল সাইডটা আমরা বলেছি, রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা নিজেরা সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারি না।'

বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশনপ্রধানসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বৈঠকে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে