শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

তথ্যমন্ত্রীর ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
তথ্যমন্ত্রীর ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ
ডক্টর হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ ২০০৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী আংশিক) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবার পুনরায় তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তার ঋণ ছিল ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এবার তার নামে ঋণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে তার ঋণ আগের চেয়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তিনি হলফনামায় পেশা হিসেবে শিক্ষকতা ও ব্যবসা উলেস্নখ করেছেন।

হলফনামায় দেখা যায়, হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত ব্যাংকঋণ রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গেস্নাবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য জামানতবিহীন ঋণ রয়েছে ৯১ লাখ টাকা। ভাইদের কাছ থেকে ঋণ রয়েছে ১২ লাখ টাকা।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কৃষি খাতে আয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া খাতে আয় ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক ও অন্যান্য খাত থেকে সম্মানী বাবদ হাছান মাহমুদের আয় ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৩ টাকা।

২০১৮ সালে তার মোট ঋণ ছিল ১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। এর মধ্যে জিপ গাড়ি বাবদ ঋণ ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, জামানতবিহীন ঋণ ৯৬ লাখ টাকা উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়া ভাইদের কাছ থেকে ঋণ ১০ লাখ টাকা দেখানো হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী নুরান ফাতেমার আয় কমেছে। ২০১৮ সালে মোট আয় ছিল ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৫ টাকা। এবার দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩৩ টাকা। এবার হলফনামায় নুরান ফাতেমার বাড়িভাড়া বাবদ আয় দেখানো হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ব্যবসা খাতে আয় ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র খাতে আয় ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংক ও অন্যান্য খাতে তার আয় ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৩৩ টাকা।

তথ্যমন্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪০ হাজার টাকা।

মন্ত্রীর ব্যাংকে জমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে পাঁচলাইশ থানাধীন খুলশী মৌজায় ছয় কাঠা জমি দেখানো হয়েছে। এছাড়া পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠার একটা পস্নট দেখানো হয়। পৈতৃক সূত্রে হাছান মাহমুদ বাকলিয়া মৌজায় দুই কাঠা জমির এক-চতুর্থাংশের মালিক দেখানো হয়। দানপত্র সূত্রে সাড়ে পাঁচ কাঠা জমির ওপর দালান রয়েছে। এই দালান এখন ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের (ডেভেলপার) কাছে রয়েছে। একইভাবে ২০০৯ সালে প্রায় ৪৮ লাখ টাকায় রাউজানের পিংক সিটিতে একটি ডুপেস্নক্স ঘর কেনা হয় বলে হলফনামায় উলেস্নখ রয়েছে।

এছাড়া হাছান মাহমুদের স্ত্রীর নামে গাজীপুরে তিন কাঠা জায়গা রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের সিরাজুদৌলা সড়কে এক গন্ডার বেশি জায়গা রয়েছে বলে হলফনামায় দেখানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে