নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে টানা দু'বারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। তারপরও তার আয় কমেছে, স্ত্রীরও একই অবস্থা। বাড়ি বা দোকান ভাড়া থেকে ৫ বছরে তার আয় বেড়েছে মাত্র ১৩ হাজার টাকা। তবে আয় কমলেও ৮৫ লাখ টাকায় গাড়ি কিনেছেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচিত এমপি খোকা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া তার হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পাঁচ বছর আগে লিয়াকত হোসেন খোকার বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ছিল চার লাখ ৭৯ হাজার টাকা। পাঁচ বছরে এ খাতে তার আয় বেড়েছে মাত্র ১৩ হাজার টাকা। ব্যবসায় তার বার্ষিক আয় কমেছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। ওই হলফনামায় লিয়াকত হোসেন খোকার স্ত্রীর নামে গাড়ি থাকলেও তার নিজের কোনো গাড়ি ছিল না বলে উলেস্নখ করেছিলেন। এবার এমপির নিজের নামে একটি টয়োটা জিপের মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আগে তার নামে কোনো জমি, পস্নট না থাকলেও এবার ছয় লাখ ৬০ হাজার অগ্রিম দিয়ে রাজউকের একটি পস্নট দেখিয়েছেন তিনি। স্ত্রীর নামে সোনারগাঁয়ে ছয় লাখ টাকা মূল্যের ৮ শতাংশ জমি কিনেছেন এমপি লিয়াকত হোসেন। দায়দেনার মধ্যে মার্কেটের দোকান ভাড়া অগ্রিম হিসেবে নেওয়া গত নির্বাচনের হলফনামায় দেখানো ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবারও দেখানো হয়েছে। এছাড়া তার কিংবা তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকের \হকোনো দায়দেনা নেই বলেও হলফনামায় উলেস্নখ করা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা খাতে স্ত্রী ডালিয়া লিয়াকতের আয় ছিল ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ১০ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ব্যবসায় পুঁজি ও হাতে ছিল ৯৮ লাখ টাকা। বর্তমানে তা কমে হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা। তবে স্ত্রীর ব্যবসার পুঁজি বেড়েছে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। ব্যাংকে এমপি খোকার নিজের নামে পাঁচ বছর আগে জমা ছিল প্রায় চার লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এবার তা কমে হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর ব্যাংকে জমা টাকা আগের তুলনায় ৮৭ হাজার টাকা কমে আট লাখ ১৩ হাজার হয়েছে। নির্ভরশীলের নামে আগে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা থাকলেও এবার বেড়ে তা হয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ। এ দম্পতির নামে দু'টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাত্র ১৯ লাখ টাকার শেয়ার থাকলেও এক কোটি ১০ লাখ টাকা দামের দুই গাড়িতে চড়েন তারা।