শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

৭৩১ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল

৩০০ আসনে ২৭১৬ মনোনয়নপত্র দাখিল বাতিল ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বৈধ এক হাজার ৯৮৫ মনোনয়নপত্র
যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
আপডেট  : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১১
৭৩১ মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭ শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৭৩ শতাংশ বৈধ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে মাঠের প্রতিবেদন একীভ‚ত করে এমন তথ্য জানায় সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিল, ঋণখেলাপি, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়।

তারা জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।

ইসি জানায়, ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হলো ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন। এজন্য ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে। ১০ কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ করে আপিল শুনানি হবে ক্রমানুসারে।

আপিল আবেদনগুলো শুনানি শেষে ফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আপিলের রায়ের অনুলিপি নিম্নোক্ত শিডিউল মোতাবেক

নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

অন্যদিকে রায়ের অনুলিপি আবেদনের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে (উল্লেখ্য নামঞ্জুর আপিলের রায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে)।

জানা গেছে, ঢাকার ২০টি আসনে জমা পড়া ২৩৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৫৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিল, প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ৭৮টি মনোনয়নপত্র। অর্থাৎ, এক তৃতীয়াংশ মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়ে গেছে।

ঢাকা ৪ থেকে ১৮ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম জানান, মহানগরের এ ১৫টি আসনে মোট ১৮৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১২৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে, বাতিল হয়েছে ৬৪টি।

এর মধ্যে ১৫টি মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপির কারণে, ২৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনের নথিতে গরমিলের কারণে এবং ২০টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র না দেওয়ায়।

ঢাকা ১ থেকে ৩ ও ১৯ থেকে ২০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান জানান, এ পাঁচ আসনে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। আর বাতিল হয়েছে ১৪টি মনোনয়নপত্র।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার। এই আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়া, হলফনামায় তথ্য গোপন ও ১ শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর না মেলার কারণে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। সোমবার সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই করা হয়।

জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজামউদ্দিন লস্কর, এনপিপির শেখ আবুল কালাম এবং জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সাহিদুল ইসলাম (মিটু), জাতীয় পার্টির শিশির চৌধুরী ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. কামাল হোসেন। তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।

বরিশাল অ?ফিস জানায়, বরিশাল-৪ আস?নের নৌকার প্রার্থী ডক্টর শাম্মী আহমেদসহ ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। শাম্মীর প্রতিদ্ব›দ্বী একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ পংকজ নাথের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ১০ জন হচ্ছেন বরিশাল-১ আসনের জাকের পার্টির এমপি প্রার্থী মো. রিয়াজ মোর্শেদ জামান খান, বরিশাল-২ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিরাজ খান, জাতীয় পার্টি-জেপির ব্যারিস্টার আলবার্ট বাড়ৈ, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী ডক্টর শাম্মী আহমেদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আসাদুজ্জামান, বরিশাল-৬ আসনে মোহাম্মদ সামশুল আলম, স্বতন্ত্র মো. জাকির খান সাগর, মো. শাহরিয়ার মিয়া, নুরে আলম সিকদার এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. হুমায়ুন কবির।

রাজশাহী অফিস জানায়, রাজশাহীর ৬টি আসনে ৩৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। সোমবার বিকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। এর আগের দিন রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে তাদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই সম্পন্ন করা হয়।

রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ জানান, রোববার যাচাইবাছাই শেষে ৩৬টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ১৭টি বাতিল ও ৭টি পেন্ডিং রাখা হয়েছিল। পেন্ডিং রাখা সাতজনের মধ্যে দুইজন তাদের বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে চ‚ড়ান্তভাবে ৩৮টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে ৭টি, রাজশাহী-২ আসনে ৭টি, রাজশাহী-৩ আসনে ৭টি, রাজশাহী-৪ আসনে ৪টি, রাজশাহী-৫ আসনে ৬টি ও রাজশাহী-৬ আসনে ৭টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে যে ২২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা আপিল করতে পারবেন। তাদের ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল করতে হবে।

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনএফ দলের প্রার্থী আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতি মুক্তিজোট প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টি থেকে শামসুদ্দীন মÐল ও বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সিদ্দিকী শিবলী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন, বিএনএমের প্রার্থী কামরুল হাসান, মুক্তিজোট প্রার্থী ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মারুফ শাহরিয়ার।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন এমপি, বিএনএমের মনোনীত প্রার্থী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম মতিউর রহমান মন্টু, জাতীয় পার্টির সোলাইমান হোসেন ও আব্দুস সালাম খান, বিএনএফের বজলুর রহমান ও এনপিপির প্রার্থী সইবুর রহমান।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক এমপি, জাতীয় পার্টির আবু তালেব প্রামাণিক ও বিএনএম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রায়হান।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান এমপি, জাতীয় পার্টির প্রার্থী অধ্যাপক আবুল হোসেন, গণফ্রোন্টের প্রার্থী মোখলেসুর রহমান, জাকের পার্টির শরিফুল ইসলাম ও বিএনএমের প্রার্থী শরিফুল ইসলাম।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রার্থী থাকলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি রায়হানুল হক রায়হান, বিএনএমের প্রার্থী আব্দুস সামাদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন রিন্টু, জাকের পার্টির রিপন আলী, এনপিপির মোহসীন আলী, জাসদের জুলফিকার মান্নান জামি।

চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের ৫টি আসনে সর্বমোট ৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং বাকি ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাইবাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

চাঁদপুর-১ আসন (কচুয়া): বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের সেলিম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির এ কে এম শহিদ উল্লাহ, জাসদের সাইফুল ইসলাম, জাকের পার্টির মাসউদুল হাসান। এই আসনে বাতিল প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হোসেন, মো. মোহাম্মদ রাহাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ শওকত হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জামাল হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. সেলিম প্রধান।

চাঁদপুর-২ আসন (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) : এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির এমরান হোসেন মিয়া, জাকের পার্টির ওবায়েদ মোল্লা, সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ মনির হোসেন, স্বতন্ত্র এম. ইসফাক আহসান, জাসদের মোহাম্মদ হাছান আলী শিকদার। যাচাইবাছাইর সময় উপস্থিত না থাকায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. শাহ আলম সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

চাঁদপুর-৩ আসন (সদর ও হাইমচর) : এই আসনের বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি, স্বতন্ত্র- ডক্টর মোহাম্মদ সামসুল হক ও মো. রেদওয়ান খান, জাতীয় পার্টির মো. মহসীন খান, জাকের পার্টির মো. কাওছার মোল্লা, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মো. মঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মিজানুর রহমান।

চাঁদপুর-৪ আসন (ফরিদগঞ্জ) : আওয়ামী লীগের মুহম্মদ শফিকুর রহমান, জাকের পার্টির মো. নুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ডক্টর মোহাম্মদ শামসুল হক ভ‚ঁইয়া, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল গনি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ডক্টর মুহাম্মদ শাহজাহান। ঋণ খেলাপির কারণে বাতিল প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সেলিম।

চাঁদপুর-৫ আসন (শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ) : এই আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র গাজী মাইনুদ্দিন ও মো. শফিকুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিএনএফ) বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী, জাকের পার্টির মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ। বাতিল প্রার্থীরা হলেন তথ্য গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়া, উপস্থিত না থাকায় জাসদের মো. মনির হোসেন মজুমদার ও মামলা তথ্য গোপন রাখায় বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আখতার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, জেলার তিনটি আসনে ১৭ প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাকি ১৫ জন প্রার্থী এই তিন আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল দুই প্রার্থী হচ্ছেন মাদারীপুর-২ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী ইউসুফ আলী সুমন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম নুরুজ্জামান।

সোমবার বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী।

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-১ আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. মাসুদ শিকদার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন দলের প্রার্থী মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দিকী।

মাদারীপুর-২ আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী ইউসুফ আলী সুমন। ঋণ খেলাপির জন্য তার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।

বাতিল হওয়া আরেক প্রার্থী হচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম নুরুজ্জামান। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার রশিদ দাখিল না করার জন্য প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

এছাড়া বাকি তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাজাহান খান, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান আকন ও বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী সুবল চন্দ্র মজুমদার।

মাদারীপুর-৩ আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসা. তাহমিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী প্রবীণ হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী নকুল কুমার বিশ^াস, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক, জাকের পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন।

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় ফরিদপুর-১ আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। ৭ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার (পিএ)।

হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনের ফরমে মনোনীত প্রার্থীর ঘরে স্বাক্ষর না থাকায় তা বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

এ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরের মনোনয়নপত্রে দুটি স্বাক্ষরে কিছুটা গরমিল থাকায় তা স্থগিত রাখা হয়। পরে পুনরায় স্বাক্ষর দিলে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

এ আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান, জাকের পার্টির মো. আ. রউফ মোল্লা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল ইসলাম শিকদার।

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার জানান, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১১ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ডক্টর উর্মি বিনতে সালাম।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রæটির কারণে ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল রহিম শহিদ, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের মো. আব্দুর রউফ, জাকের পার্টির মো. আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ফাহাদ আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুর রহমান।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, জাসদ নেতা আব্দুল মোসাব্বির, ওয়ার্কাস পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির দুই নেতা রুহুল আমিন, আলতাফুর রহমান এবং এনপিপির মো. আবু বকর।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৩৭ জন। ৩৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৩টি বাতিল ও ৩৪টি বৈধ ঘোষণা দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন-

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (স্বতন্ত্র), সরদার শাজাহান (জাতীয় পার্টি), শামসুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), পারভীন খাতুন (জাসদ), জয়নাল আবেদীন (তৃণমূল বিএনপি) ও মুকুল হোসেন (জাকের পার্টি)।

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ), খন্দকার আজিজুল হক আরজু (স্বতন্ত্র), মেহেদী হাসান রুবেল (জাতীয় পার্টি), আজিজুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শেখ আনিসুজ্জামান (জাসদ), আবুল কালাম আজাদ (তৃণমূল বিএনপি), মমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে আলহাজ মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ), আব্দুল হামিদ মাস্টার (স্বতন্ত্র), মীর নাদিম মোহাম্মদ ডাবলু (জাতীয় পার্টি), মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি), বেলাল মোল্লা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), খায়রুল আলম (গণতন্ত্রী পার্টি), কামরুজ্জামান মো. হাদী (জাকের পার্টি) ও আবুল বাশার শেখ (জাসদ)।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক (জাসদ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), মো. পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস (স্বতন্ত্র) এবং মো. মনছুর রহমান।

পাবনা-৫ (সদর) আসনে গোলাম ফারুক খন্দ: প্রিন্চ (আওয়ামী লীগ), আব্দুল কাদের খান (জাতীয় পার্টি), মো. জাকির হোসেন (ওয়ার্কার্স পার্টি), মো. মফিজ উদ্দিন প্রাং (জাকের পার্টি), মো. আবু দাউদ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) এবং মো. আফজাল হোসেন বটু (তৃণমূল বিএনপি)।

বগুড়া প্রতিনিধি জানান, জেলার ৩টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৪১ জন। এর মধ্যে যাচাইবাছাইকালে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৬ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৮ জন। তাদের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ২ জনের স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল হওয়া দুইজনের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ওমর ফারুক ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আব্দুন নূরের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থকের নাম না থাকায় বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্পদ বিবরণী ও হলফনামা বিবরণী না থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মামুনুর রশিদের মনোনয়নপত্রে তথ্যের গরমিল থাকায় তা স্থগিত করা হয়।

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৮ জন। তাদের মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৩ জনের স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিলকৃত দুইজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের মধ্যে নয়ন রায়ের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ায় এবং সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু হাউস বিল্ডিংয়ের ঋণখেলাপি ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আজিজ আহম্মেদ রুবেল কাস্টমসে মূসকের ১০ হাজার টাকা ও জাসদের ইমদাদুল হক ইমদাদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মূসক পরিশোধ না করায় এবং এনপিপির শহিদুল ইসলাম বা তার কোনো প্রতিনিধি যাচাইবাছাইয়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ২৫ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ১ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশের শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ কারণে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন আতাউর রহমান, আমজাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আসাফুদৌলা সরকার, সারোয়ার হোসেন, জুলফিকার আলী, মেজবাউল আলম, মানিকুর রহমান, নজরুল ইসলাম মিলন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম নামে ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র না থাকা ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল এবং মোস্তাফিজুর রহমান মিলু কাস্টমসের মূসকের ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা বকেয়া রাখা ও শতকরা ১ ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই ১১ জন ছাড়াও জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী রাকিব হাসানের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় তার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী এনামুল হক রাঙ্গার সমর্থক উপস্থিত না থাকায় তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়।

ফেনী প্রতিনিধি জানান, ৩৮টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ২১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন ফেনী জেলা রিটার্নিং অফিসার। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে। ফেনী-৩ আসনে নৌকার মাঝি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল বাশারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বর্তমান এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী জাতীয় পার্টি থেকে, তবারক হোসেন সুপ্রিম পার্টির, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্লাহর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে চাকসুর সাবেক জিএস আজিম উদ্দিন তৃণমূল বিএনপি থেকে, আয়কর বকেয়া থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আব্দুল কাশেম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ভোটারদের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় বাতিল করা হয়েছে। আনোয়ারুল কবির রিন্টু আনোয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী, তার ও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক জোট থেকে এবিএম ইবনে জোবায়ের সুফিয়ানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সোনাগাজীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ভোটারদের তালিকায় গরমিল থাকায় বাতিল করা হয়েছে।

পারভীন আক্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী, হাজি রহিম উল্লাহর গৃহিণী। ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তারও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে আপিল করতে পারবেন ৯ তারিখের মধ্যে।

ফেনী-২ আসন থেকে নৌকার মাঝি বর্তমান এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন অফিসার। এছাড়াও আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া (সবুজ) তৃণমূল বিএনপিসহ যারা বৈধতা পেয়েছেন তারা হচ্ছেনÑ খান্দকার নজরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টির প্রার্থী), মাওলানা নুরুল ইসলাম (বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী), মো. নুরুল আমিন ভুঁইয়া (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট), আবুল হোসেন (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. হোসেন (বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী), এএসএম আনোয়ারুল করীম (স্বতন্ত্র প্রার্থী)।

মাহবুব মোর্শেদ মজুমদারের (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোট) প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

ফেনী-২ সদর আসনে ১০ জনের মধ্যে বৈধতা পেল ৮ জন। দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

ফেনী-১ আসনের নৌকার মাঝি আলাউদ্দিন নাসিম ও জাসদের নেত্রী শিরীন আকতারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্র্টি (জাপা), জাকের পার্র্টি, পিপলস পার্টি ও দুইজন স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ মোট ছয়জনের মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোজাম্মেল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাকিল আহম্মেদ।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আল কামাহ তমাল বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের সঙ্গে দেওয়া এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

দিনাজপুর-৫ আসন থেকে মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরা হলেনÑ আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, জাকের পার্টির হারুন আর রশিদ, পিপলস পার্টির শওকত আলী, স্বতন্ত্রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোজাম্মেল হক ও অ্যাডভোকেট হজরত আলী বেলাল।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, জেলার মোট ৪টি সংসদীয় আসনে দাখিলকৃত ৩৭ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের মুক্তিজোট প্রার্থী আব্দুল আজিজ ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির এ ঘোষণা দেন।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে তালা-কলারোয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমানসহ মোট তিনজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাঠ দখল রেখেছেন। এদের মধ্যে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এসএম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব। বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্র্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এ ছাড়া অপর হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্র্টির মনোনীত প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখৎ মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া ছোট দলগুলোর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, তৃণমূল বিএনপির সুমি, মুক্তিজোট শেখ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. নুরুল ইসলামও মাঠে রয়েছেন। তবে এসব ছোট-খাটো দলের এ আসনে খুব বেশি কর্মী-সমর্থক নেই বললেই চলে।

সাতক্ষীরা-২ সদর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। এ আসনে বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনছান বাহার বুলবুল স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন। জাতীয় পার্র্টির মনোনীত প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্র্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান আশু, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্র্টির মো. আনোয়ার হোসেন, জাকের পার্র্টির শেখ এফতেখার আল মামুন সুমন, ওয়ার্কার্স পার্র্টির মো. তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মো. কামরুজ্জামান বুলু, তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী।

সাতক্ষীরা (আশাশুনি-দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ)-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য বর্তমান এমপি ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক মাঠে কাজ করছেন। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্রপ্রার্থী মাঠে না থাকলেও তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্র্টির মনোনীত প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্র্টির সদস্য মো. আলিপ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির রুবেল হোসেন, জাকের পার্র্টির মো. মঞ্জুর হাসান, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্র্টির মো. আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল শেখ তারিকুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ)-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন মাঠে কোমর বেঁধে কাজ করছেন। এ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের নেত্রী মাসুদা খানম মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া নৌকার মূল প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন হেবিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্র্টির সাবেক হুইপ এইচ, এম গোলাম রেজা। এ ছাড়া জাতীয় পার্র্টির মনোনীত প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্র্টির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদি, বাংলাদেশ কংগ্রেস মো. শফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্র্টির শেখ একরামুল. স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মাঠে রয়েছেন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, জেলার মোট ৪টি সংসদীয় আসনে সাবেক এমপি স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুর রউফসহ ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া সদর আসনের হেবিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়ার মিরপুর ভেড়ামারা আসনে জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রার্থিতা গৃহীত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই শুরু করেন। প্রত্যেকটি আসনের জন্য আধাঘণ্টা সময় নিয়ে যাছাই-বাছাই চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে ১৩

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে