শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞায় পড়লে পোশাক না নেওয়ার শর্ত ক্রেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
নিষেধাজ্ঞায় পড়লে পোশাক না নেওয়ার শর্ত ক্রেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি

যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এবার সেই দুশ্চিন্তা আরও কিছুটা বাড়ল। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় ঘোষিত নতুন এই শ্রমনীতির কারণে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার

শর্ত দিয়ে ইতোমধ্যে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

এ বিষয়ে বুধবার তিনি বলেন, 'একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো ঋণপত্রের সাধারণ শর্তের মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তারা পণ্য নেবে না। যদি পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।'

তবে কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা জানাননি তিনি।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, 'নতুন শর্ত দেওয়ায় দুশ্চিন্তা একটু বাড়ল। কারণ, এতে করে অনেক ব্যাংক মূল ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে না-ও পারে। তার কারণ হচ্ছে, নতুন এই শর্তের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির পর অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকে যায়। আবার ক্রেতা পণ্য না নিলে স্টক হয়ে যেতে পারে। অনেক ব্যাংক আবার ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্বাভাবিকভাবে খুলবে। এটিকে বড় করে দেখবে না। কারণ, তাদের এই খাতের ওপর বিশ্বাস রয়েছে।'

ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য সরকারের ওপর মহলে কথা বলবেন বলে এ সময় উলেস্নখ করেন ফারুক হাসান।

এ ঘটনার পর উদ্যোক্তারা দুশ্চিন্তায় পড়বেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অবশ্যই উদ্যোক্তারা টেনশনে পড়বেন। যদিও আমরা মনে করি না, ব্যবসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত হয়তো দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।'

গত ১৬ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি প্রকাশকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন বলেন, 'যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবে, ভয় দেখাবে, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।'

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে 'শঙ্কা' প্রকাশ করে বাণিজ্য সচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে