শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সরকারের সামনে অর্থনীতির ৬ চ্যালেঞ্জ

নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি করে একটি স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসা। তবে নতুন সরকারের পক্ষে এটি করা খুব কঠিন হবে। কারণ বাজার নিয়ন্ত্রণ বা শৃঙ্খলা আনতে যেসব নীতি কার্যকর করতে হয়, সেটা বাস্তবায়ন করার মতো নৈতিক তথা রাজনৈতিক অবস্থান সরকারের থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে
সাখাওয়াত হোসেন
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নতুন সরকারের সামনে অর্থনীতির ৬ চ্যালেঞ্জ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। অর্থনৈতিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বৃহস্পতিবার গঠন হয়েছে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে যাত্রার শুরুতেই নতুন সরকারকে একগুচ্ছ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, রাজস্ব ও ব্যাংক খাতের চলমান সংকটগুলোর ব্যাপারে দ্রম্নত কার্যকর ব্যবস্থা না নিতে পারলে পরবর্তীতে তা থেকে উত্তরণ কঠিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি করে একটি স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসা। বিশেষ প্রয়োজন উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ক্ষেত্র ও অভ্যন্তরীণ বাজারে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। তবে নতুন সরকারের পক্ষে এটি করা খুব কঠিন হবে। কারণ বাজার নিয়ন্ত্রণ বা শৃঙ্খলা আনতে যেসব নীতি কার্যকর করতে হয় সেটা বাস্তবায়ন করার মতো নৈতিক তথা রাজনৈতিক অবস্থান সরকারের থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা যাদের কারণে অর্থনীতির এই হাল হয়েছে সে সব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আগামী দিনেও একই ধরনের প্রভাবশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ সংকটের সমাধান করা কঠিন হবে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, অর্থনীতির ক্ষেত্রে এখনকার যে সমস্যা, তা তৈরি হয়েছে দুটি কারণে। প্রথমত, আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনের সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও রাজনৈতিক ও নেতিক বৈধতার অভাব ছিল। দ্বিতীয়ত, যারা আর্থ-সামাজিক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়নি। ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ, প্রকল্পগুলোর ব্যয় কয়েক গুণ বাড়ানো কিংবা বিদু্যৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ এর অন্যতম উদাহরণ হিসেবে উলেস্নখ করেন তারা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নিচ্ছে। এজন্য সরকার এখন আইএমএফসহ অন্যান্যদের যেসব প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে সেগুলো পরিপালন করতে দরকারি উদ্যোগ, সমন্বয় ও প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আর সে জন্য দরকার হবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতিসহ অভ্যন্তরীণ সংস্কারের লক্ষ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে সরকার বিদেশি সহায়তা নিয়েও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে না। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয় হবে- প্রবৃদ্ধির ধারা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো, টাকাকে আকর্ষণীয় করা। নির্বাচনের পর অর্থনীতি ঠিক হয়ে যাবে বলে অনেকে যে দাবি করেছিলেন, তা একটা ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

এদিকে ডলার সংকটের পাশাপাশি দেশের ব্যাংকগুলো এখন যেভাবে টাকার সংকটেও ভুগছে তা নিয়ন্ত্রণ করা নতুন সরকারের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, ব্যাংকগুলো যে হারে টাকা ধার করে, সেই হার দ্রম্নত বাড়ছে। অনেক ব্যাংককে উচ্চ সুদে আমানতও সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তারল্যের এই সংকটের জন্য তিনটি বড় কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বারবার ছাড় ও সুবিধা দেওয়ার কারণে ঋণ পরিশোধের সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া, সরকারের উচ্চ সুদে টাকা ধার নেওয়া ও বেশি দামে ডলার সংগ্রহ। তারল্য সংকট মোকাবিলায় এখন ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অর্থ ধার করতে হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আদায় কম, তাই তারা ট্রেজারি বিল-বন্ডের মাধ্যমে উচ্চ সুদে টাকা ধার করে যাচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন সরকারকে খরচ কমিয়ে আনতে হবে, নতুন প্রকল্প গ্রহণের রাশ টেনে ধরতে হবে।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছর শেষে ঋণ পরিশোধে আবার ছাড় মিলবে- এমন প্রত্যাশায় অনেক ব্যবসায়ী গ্রাহক ঋণের টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে অপেক্ষা করেছেন। পাশাপাশি সরকার উচ্চ সুদে বন্ডের মাধ্যমে টাকা ধার করায় ব্যাংকগুলো আমানত পেতে সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। দুই বছর আগে যে ডলার কিনতে ৮৫ টাকা খরচ হতো, তার আনুষ্ঠানিক দরই এখন ১১০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিকভাবে ১২৩ টাকাও খরচ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। এই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের থেকে পাচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

এদিকে রাষ্ট্রনৈতিক, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির অভাব ও বাজার সিন্ডিকেটের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার সংস্কৃতির কারণে মূল্যস্ফীতি প্রলম্বিত হওয়ার যে ধারা অব্যাহত রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে টাকা ছাপিয়ে মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সারা পৃথিবীতে দাম কমলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও সেটি বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠানামা করেনি। বাংলাদেশের কাঠামোগত যে সমস্যা- যেমন বাজার ব্যবস্থাপনার যে একচেটিয়াকরণ সেখানে কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেসব পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদন করা হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে আমদানি মূল্য বাড়ার কারণে দেশে দাম কমেনি। সেখানেও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কোনো ভূমিকা গ্রহণ করা হয়নি। মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাননি, অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি পথের কথা বলেছে। অ্যাকটিভ, হকিশ ও দোভিশ। অ্যাকটিভ পলিসির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি প্রান্তিকে প্রত্যাশার তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে নীতি সুদহার নির্ধারণ করবে, চাহিদার চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং নীতি সুদহারের কাছাকাছি পর্যায়ে যাতে কলমানি সুদের হার বজায় থাকে সেটি নিশ্চিত করবে। হকিশ পলিসির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেবে। হকিশ পলিসি অনুসরণ করলে দ্রম্নত মূল্যস্ফীতি কমতে থাকবে, তবে এটি হবে ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াতে হবে, অন্যদিকে রাশ টানতে হবে সরকারের ব্যয়ে। আর দোভিশ পলিসির ক্ষেত্রে সংস্থাটি বলছে, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নীতির সঙ্গে যায় এবং এ নীতি চলতি অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে। এ নীতি অনুসরণ করলে পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে এবং সুদের হার বাড়ানো শুরু করার পর সেটি কমতে থাকবে। আইএমএফ মনে করছে বাংলাদেশের জন্য হকিশ ও দোভিশ পলিসির মাঝামাঝি নীতি অনুসরণ করাটা সুবিধাজনক হবে।

এ প্রসঙ্গে আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, হকিশ নীতি অনুসরণ করলে খুব তাড়াতাড়ি মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। দোভিশ অনুসরণ করলে তাড়াতাড়ি সেটি কমবে না। আর এর মাঝামাঝি করলে কিছুটা দেরিতে হলেও কমবে। হকিশ নীতির ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি বাজেটে কাটছাঁট করতে হবে, তাহলে মূল্যস্ফীতি দ্রম্নত কমবে।

এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ইসু্যটি নতুন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হলো বৈধ পথে আসা প্রবাসী আয়। কিন্তু ডলারের দামের পার্থক্যের কারণে বৈধ পথে ডলার আনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তেমন গতি আনতে পারেনি। গত বছর ডলার সংকট ছিল প্রকট। যে কারণে ডলারের দাম নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে অতিরিক্ত প্রণোদনা প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরও বৈধ পথে প্রবাসী আয় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালে ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

অন্যদিকে নতুন সরকারকে রাজস্ব আদায় গতানুগতিক ধারা ভাঙার শক্ত চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে। কেননা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে সরকার। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে জুলাই-নভেম্বরে শুল্ক ও করসহ সব মিলিয়ে ১৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এই সময়ে সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। আর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।

অথচ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। আগামী বাজেটের আগে ভ্যাট ও কাস্টমস শাখায় একটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট স্থাপন করার কথা ছিল। এনবিআর ইতিমধ্যে ইউনিট দুটি স্থাপন করেছে। তবে এখনো এগুলোর কাজ পুরোদমে শুরু করেনি।

এদিকে অর্থনীতি ঠিক রাখা নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে বলে স্বীকার করেছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরাও। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এজন্য সরকারকে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো এলাকা আছে। যে এলাকাগুলো এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। অনেক কম্পনেন্ট আবিষ্কার হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারকে আরও কাজ করতে হবে। আর এ জন্য নতুন অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার হবে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো। সেজন্য যেসব জায়গায় এখনো এক্সপেস্নার করা হয়নি সেগুলো করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহ নিয়ে সরকারের বড় চিন্তা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে