মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- মাদারীপুর জেলায় কর্মরত কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও নারী কনস্টেবল তানজিলা আক্তার।
শনিবার দুপুরে এ বিষয়ে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবি দাস কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তারের বিরুদ্ধে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগে বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেছে এবং দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা প্রশাসকেরর কার্যালয়ের সামনে একটি দোকানে বসে পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন। এ সময় বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা তাকে কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করেন। তানজিলা আক্তারের নামে কমিউনিটি ব্যাংকের চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে।
এদিকে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত একটি ভিডিও এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে অবস্থান করে এক হাজার টাকার কয়েকটি বাল্ডিল নিচ্ছেন। পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার পর রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পে?য়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।