রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি :যুক্তরাষ্ট্র

যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি :যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি :যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলে উলেস্নখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক কারবিকে বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে দুটি প্রশ্ন করেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা এবং মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের কয়েকটি দল বিক্ষোভ করছে, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবগত আছেন কি না? জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তার বন্ধু ও বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বিষয়টি তুলেছিলেন কি?

জবাবে কারবি বলেন, 'আমরা খুব, খুব, খুবই নিবিড়ভাবে এগুলো পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন।' তিনি বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচু্যত হওয়ার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।'

প্রশ্নের জবাবে জন কারবি আরও বলেন, 'সব বাংলাদেশি নেতার সঙ্গে আমাদের আলোচনার সময় আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্র্বর্তী সরকারের নেতারা বারবার ধর্ম বা জাতি-নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা বিধানের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন।' পরে ওই প্রশ্নকারী ভারতের রাষ্ট্রপতির চার বছর মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন করেন।

'বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক

সন্ত্রাসী হামলা হয়নি'

এদিকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দপ্তরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সহিংসতার কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। তবে এ সময়ে সরকার প্রায় রাজনৈতিক সহিংসতাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উলেস্নখ করেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গেল বছরে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের সন্ত্রাসবাদের নামে আটক করা হয়েছে। এমনকি এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

মার্কিন এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সরকার কঠোরভাবে জঙ্গিদের দমনের চেষ্টা করেছে। এ সময়ে আল-কায়েদা, আনসারুলস্নাহ বাংলা টিম এবং আইএসআইএস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের আটক করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের কাছে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ ইউনিট একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এতে বলা হয়েছে, গত মে মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় চট্টগ্রামে দুই সেনা নিহত এবং গত মার্চে আরও এক সেনা নিহত হন। এ ছাড়া কেএনএফের বিরুদ্ধে নতুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে (জেএএইচএস) প্রশিক্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের বিষয়টিও তুলে আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আইনটিকে সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নামকরণ করা হয়েছে। অনলাইনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তৈরি এ আইনটি সংশোধন করা হলেও এতে নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে