বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল আরও দুই মাস

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল আরও দুই মাস

তৃতীয় দফায় সশস্ত্র বাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু'র সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশের কথা বলা হয়।

1

আদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ও ১৫ নভেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিন করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দুই দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

জনপ্রশাসনের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এতে আরও বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অধিক্ষেত্রে অর্থাৎ সারা দেশে ও সময়কালে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সারা দেশে ফৌজধারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অভু্যত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্ব‌তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়েই গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম তাদের ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর আগে দ্বিতীয় দফায় গত ১৫ নভেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়মিত অবহিতকরণের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপাচার্য এই সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দেশের শিক্ষা ও গবেষণার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, '২৪-এর ছাত্র আন্দোলনসহ বাংলাদেশের নবজাগরণের ইতিহাসে অনন্য অবদান রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে কয়েকটি ছাত্রী ও ছাত্র হল নির্মাণ, প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় আনতে 'বিশেষ এন্ডাওমেন্ট ফান্ড' গঠন এবং শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদান, আবাসিক হল নির্মাণ, 'বিশেষ এন্ডাওমেন্ট ফান্ড' গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে তিনি সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে