বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

ঢামেকে ৭ মরদেহ : দু'জনকে শনাক্তের দাবি স্বজনদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ঢামেকে ৭ মরদেহ : দু'জনকে শনাক্তের দাবি স্বজনদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ৭ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে শনাক্তের অপেক্ষায়। এ ৭ মরদেহের মধ্যে পৃথক দু'টি পরিবার মরদেহ দেখে দু'জনকে শনাক্তের দাবি করেন। পুলিশ বলছে, আইন অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষায় মিল পাওয়া গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সেলিনা বেগম নামে এক নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার স্বামীর মরদেহ বলে দাবি করেন। তার স্বামীর নাম কাবিল হোসেন। তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া নুরে আলম নামে আরেক যুবক তার ভাতিজার মরদেহ শনাক্ত করেন। তার নাম হাসান (২০)।

1

রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে স্বজনরা যাত্রবাড়ী থেকে নিখোঁজ হাসানের মরদেহ দেখে তার ভাতিজার মরদেহ বলে দাবি করেন চাচা নুরে আলম। এবং গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঢামেকের মর্গে সেলিনা বেগম তার স্বামী কাবিলের মরদেহ বলে দাবি করেন।

মর্গের ইনচার্জ রামু দাস বলেন, 'ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এখন পর্যন্ত এক নারীসহ সাতজনের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কোনো স্বজন না থাকায় সবগুলো মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক স্বজনরা মরদেহ শনাক্তের জন্যে আসলেও কেউ শনাক্ত করতে পারেনি।'

তিনি আরও বলেন, 'রোববার দুপুরে একটি মরদেহ শনাক্তের দাবি করেন এক স্বজন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে মর্গে এসে এক নারী তার স্বামীর মরদেহ বলে দাবি করেন। তাদের থানায় ও সিআইডিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।'

নিহত হাসানের চাচা নুরে আলম বলেন, 'তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার কাছিয়া সাহা মাদার গ্রামে। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতো। গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেকট্রিক দোকানে কাজ করতো সে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিল বড়।'

তিনি আরও বলেন, 'গত ৫ আগস্ট বিকালে সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফিরেনি। অনেক হাসপাতালে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটাই হাসানের মরদেহ ছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কয়েকবার এসে ৬টি মরদেহ দেখে গেছি। তবে শনাক্ত করতে পারিনি। দুইদিন আগে ফেসবুকে কয়েকটা ছবি দেখে আবার ঢাকা মেডিকেলে আসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে