বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রা আটকে দিল পুলিশ

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রা আটকে দিল পুলিশ
দশম গ্রেডের বেতন কাঠামোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রা শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ পৌঁছালে সেখানে আটকে দেয় পুলিশ - ফোকাস বাংলা

দশম গ্রেডের বেতন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রা শাহবাগ এলাকায় আটকে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে পদযাত্রা শাহবাগ পৌঁছালে থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষকদের আটকে দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।

বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ওসি বলেন, 'শিক্ষকদের শাহবাগ মোড়ের আগেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পরে আলোচনা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় তাদের। সে অনুযায়ী সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল করা হয়েছে।'

শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শামীমা নাসরিন বলেন, 'আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যেতে চাচ্ছিলাম। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানাতাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি।'

এর আগে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকরা।

এদিন সকাল থেকে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে তারা সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশ সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান ফরিপুর জেলা থেকে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজাদুল হক বাবুল। শপথে অধিকারের প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপস না করার কথা বলা হয়।

সমাবেশে ৬

\হশিক্ষকরা বলেন, দশম গ্রেড চেয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মূল বেতন ১১ হাজার টাকা। দশম গ্রেড পেলে তা হবে ১৬ হাজার টাকা।

বরগুনার এম কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা যে কারিকুলামে পড়াই, আমাদের যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সেই একই কারিকুলামে একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে নিয়োগ হয়। তারা দশম গ্রেডে বেতন পান, কিন্তু আমরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাই।'

পাবনার চাকলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, 'আমাদের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ২০২৪ সালে যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে, আমরা তার ধারাবাহিকতায় বৈষম্যের অবসান চাই। আমরা শুনেছি একটি কনসালটেন্ট কমিটি হয়েছে। তারা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিভিন্ন ক্যাটাগরি করতে চান বলে শুনেছি। আমরা তাদের বলব, আপনারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দশম গ্রেডে করুন।'##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে