বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
বাডাস গবেষণা জরিপ

১০০ জনে ২৬ গর্ভবতী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

  ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
১০০ জনে ২৬ গর্ভবতী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

যাযাদি রিপোর্ট

দেশে গর্ভকালীন নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি ১০০ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে ২৬ জন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সন্তান প্রসবের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে ওই গর্ভবতী নারীদের ১৫ শতাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাজনক তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস)

এক গবেষণা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বছর দেশের ৬৪ জেলার ৭ সহস্রাধিক গর্ভবতী নারীর ওপর এ গবেষণা জরিপ পরিচালিত হয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের ছোটখাটো জরিপ পরিচালিত হলেও দেশব্যাপী পরিচালিত এ ধরনের জরিপ এই প্রথম।

এ গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বাডাসের সেন্টার ফর গেস্নাবাল রিসার্চের কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ ভৌমিক জানান, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক সমিতির (আইডিএফ) যে সাতটি অঞ্চল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলাতে প্রতি ১০০ জনে ২৫ জন গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু গবেষণা জরিপে বাংলাদেশে ২৬ দশমিক ৪ জন পাওয়া যায়। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হলো ১০ বছর পর এ গর্ভকালীন নারীরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে পরিণত হবেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ শতাংশ মাত্র এক বছরের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি জানান, গর্ভবতী নারীদের মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশের ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালো ধারণা রয়েছে। গর্ভবতী বিভিন্ন পেশাজীবী নারীর মধ্যে ডাক্তার, নার্স ও নিউট্রিশনিস্টদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২ জন ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাশেদ আহমেদ জানান, তার স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানসম্ভবা। গাইনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। প্রাথমিক গর্ভাবস্থা থাকায় চিকিৎসক তেমন কোনো ওষুধ দেননি। কিন্তু তার স্ত্রীর কখনো ডায়াবেটিস খুব বেশি আবার কখনো কমে হাইপো হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে ও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। এমন অবস্থায় ভয় পাচ্ছেন, চিকিৎসক বদল করবেন কি না ভাবছেন।

বাডাসের সেন্টার ফর গেস্নাবাল রিসার্চে কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ ভৌমিকের কাছে চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসব নারীর চিকিৎসা পদ্ধতি কি হবে সে সম্পর্কে কোনো গাইডলাইন নেই। ফলে গর্ভকালীন নারীদের সুচিকিৎসার পথে এটি একটি বাধা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে