শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হোমিওপ্যাথি- একটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান

  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৬
হোমিওপ্যাথি- একটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান
হোমিওপ্যাথি- একটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান

সবারই জানা আছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানী বা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ থাকলেও পৃথিবীর এ সমাজ কর্তৃক কাকে বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বলে আখ্যায়িত করা হবে তা ৭টি স্তরে নির্ধারণ করেন। যিনি বা যারা সুনির্দিষ্ট ৭টি স্তর সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করবে, কেবল সেটি হবে বিজ্ঞান- যিনি বা যারা আবিষ্কার করবেন তারাই হবেন বৈজ্ঞানিক এবং সুনির্দিষ্ট সূত্র (ষধ)ি ও তত্ত্ব (ঃযবড়ৎু) দ্বারা- যা আবিষ্কার হবে তা হবে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার।

হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান উলিস্নখিত ৭টি স্তর সঠিক ও সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করেছেন। যা বিশ্বের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতদের বক্তব্য, গবেষণায় ও লিখনীতে পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষভাবে শুধু স্বীকৃতি দেননি বরং তাদের গবেষণায়ও অনুসরণ করেছেন। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওইসব বিজ্ঞানীদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, বিজ্ঞানী সমাজ কর্তৃক নিরূপিত ক্রাইটেরিয়ার ওই ৭টি স্তর বা ধাপ হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করে সুনির্দিষ্ট সূত্র ও তত্ত্বকে সংজ্ঞায়িত করা সত্যেও এরূপ বক্তব্য আমাদের ব্যথিত করে।

1

যাহোক, বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে ওষুধ বিজ্ঞানের ইতিহাসকে দু'টি সময়কালে চিহ্নিত করা যায়। ওষুধের প্রারম্ভিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অভিজ্ঞতালব্ধ পর্যবেক্ষণ (ড়নংবৎাধঃরড়হ ড়হ বীঢ়বৎরবহপব)-এর ভিত্তিতে অশোধিত স্থূল ভেষজ ব্যবহৃত হতো। এটা অত্যন্ত কৌতুহলজনক যে, সেকেলে লোকেরা ভেষজ এবং রোগের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক আবিষ্কারে একেবারেই অনভিজ্ঞ ছিল।

শপ্তাদশ শতাব্দীতে অবিরাম জ্বরে আরোগ্যকারী হিসেবে সিংকোনা গাছের বাকল প্রয়োগ স্বীকৃত লাভ করে। ১৯৬৫ সালের প্রথম দিকে খরহফ ম্যালেরিয়ায় অব্যর্থ চিকিৎসা হিসেবে রোগ নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ মাত্রায় সিংকোনা বাকল প্রয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।

ঔধসবং ঔড়যহংড়হ ১৮০৪ সালে জ্বর প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত ক্যালোমেলের স্থলে সিংকোনা বাকল প্রয়োগের পরামর্শ দেন। ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু এটাও ছিল সে কালের পরমপরাগত মতবাদজনিত। যদিও এর ফলাফল ছিল হত্যাজনিত (গঁৎফবৎড়ঁং) এই ধরনের চিকিৎসা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতে প্রচলিত ছিল।

রোগ চিকিৎসায় যুক্তি সঙ্গত পদ্ধতি প্রবর্তন করার জন্য পুনঃপুনঃ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন এই ধরনের পদ্ধতিতে যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য ফিজিওলজি ও প্যাথলজি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানের চাইতে পেশায় তারা অধিকতর মন্দ ফলাফলে অগ্রগামী হয়।

ঔধসবং এৎবমড়ৎু (১৭৫৩-১৮২১) পৃথিবীতে লাক্ষণিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার ঘটান এবং এই পদ্ধতিকে অ্যালোপ্যাথি নামে অবিহিত করেন। এই পদ্ধতিতে রোগ আরোগ্যকারী ছিল : রক্তক্ষরণ (ইষড়ড়ফ ষবঃঃরহম), বমনকারক (ঊসবঃরবং), বিরেচক (চঁৎমধঃরাবং) এগুলো প্রধান বা প্রবল রোগ লক্ষণসমূহ চাপা না পড়া পর্যন্ত ব্যবহৃত হতো। কি পরিমাণে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা পেশা চালনা করা হয়েছিল তার উদাহারণ দেওয়া হলো : ম্যালেরিয়া জ্বর ও রক্ত আমাশয়ে প্রতি মাত্রায় ২০ গ্রেন ক্যালোমেল দ্বারা চিকিৎসা করা হতো; যে পর্যন্ত না হঠাৎ দৈহিক অবসন্নতার সৃষ্টি না হয়। ফ্রান্সে ৩ কোটি ২০ লাখ জোক রক্তক্ষরণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ধরনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগ লক্ষণ চাপা দেওয়ার কুফলে দৈহিক অবসন্নতা- যা পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃতু্য ঘটেছিল। এর পরিণামে যেখানে 'বষবংঃ সড়ৎঃ মঁরর্ৎথ প্রবাদটি ব্যবহৃত হতো।

তৎকালীন প্রচলিত এই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির সংস্কারকল্পে এবং এই অসন্তোষজনক চিকিৎসা পদ্ধতির বিপরীতে দেহে ভেষজের ক্রিয়াস্থান এবং ধরন সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা চালাতে থাকেন পৃথিবীর বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাদের মধ্যে জার্মানিতে ঝধসঁবষ ঐধযহবসধহহ (১৭৫৫-১৮৪৩), ফ্রান্সে ঋৎধহপরড়ং গড়মবহফরব এবং ঈষড়ঁফব ইধৎহধৎফ (১৯১৮-১৮৭৮) জার্মানিতে ঙংধিষফ ঝপযসরবফবনবৎম (১৮৩৮-১৯২১) এবং যুক্তরাষ্ট্রে ঔড়যহ ঔধবড়ন অনবষ (১৮৫৭-১৯৩৮) অন্যতম।

১৭৯০ সাল হতে শুরু করে দেহে ভেষজ (অৎঃরভরপরধষ গড়ৎনরভরব অমবহঃ)- এর ক্রিয়াস্থান, ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ (ড়নংবৎাধঃরড়হ ড়হ বীঢ়বৎরসবহঃ)-এর ভিত্তিতে নিম্নলিখিত ৩টি প্রধান মতবাদের ওপর ওষুধ বিজ্ঞান (চযধৎসধবপড়ষড়মু)-এর শাখা হিসেবে ১৭৯৬ সালে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার হয়।

১। ওষুধ বিজ্ঞান মানুষের ওপর ভেষজের ক্রিয়া সংক্রান্ত গবেষণা, পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব। ২। স্থূল মাত্রায় পদার্থ সুস্থ্য মানব দেহে যে সব (কৃত্রিম রোগ) লক্ষণ সৃষ্টি করে ওই পদার্থই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সূক্ষ্ণ মাত্রায় ওষুধে রূপান্তরিত হয়ে সমলক্ষণ বিশিষ্ট প্রাকৃতিক রোগসমূহ আরোগ্য করে।

৩। রোগ প্রতিরোধ বা আরোগ্য সূক্ষ্ণমাত্রা অধিকতর কার্যকর।

পরশ্রীকাতরতার কারণে উনবিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ওপর উলিস্নখিত মতবাদগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান না করলেও বিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় এবং পেশায় স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ১৭৯৬ সালের যুগান্তকারী মতবাদগুলোকে অনুসরণের মাধ্যমে স্বীকৃত প্রদান করেছেন এবং সূক্ষ্ণমাত্রার মতবাদ অনুসরণে প্রস্তুতকৃত ওষুধকে 'আধুনিক ওষুধ' বলে দাবি করছেন। আসুন এবার দেখা যাক, হানিম্যানের মতবাদ ৩টিকে বিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায়, পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা কীভাবে অনুসরণ এবং প্রমাণ করেছেন।

১। ওষুধ বিজ্ঞানে মানুষের ওপর ভেষজের ক্রিয়া সংক্রান্ত গবেষণা, পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব:

ক) তনরহফবহ-এর দাবি অনুযায়ী ৭৭টি ভিন্ন ভিন্ন ওষুধ 'অথবা ওষুধের মিশ্রণ ১১ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে পুনঃপুনঃ প্রকাশিত হয়, ওষুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন ৪৫টি লক্ষণের অর্ধেক লক্ষণ চতুষ্পদ জন্তুুর ওপর পরীক্ষায় পাওয়া যায় না যেমন- নিদ্রালু, অরুচি, মাথাঘোরা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, দুঃখ, শিরঃপীড়া, অনিদ্রা, উদ্যমহীনতা, অবসাদ ইত্যাদি (গবফরপধষ চযধৎসধবপড়ষড়মু, ঢ়ধমব-৪২)

খ) মানুষের ওপর কতিপয় সুনির্দিষ্ট গবেষণা চালিয়ে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। যক্ষ্ণা প্রতিরোধে সংক্রমণমুক্ত শক্তি হিসেবে ভোল ব্যাসিলাস (ঠড়ষ ইধপরষষঁং)কে সঠিক মূল্যায়িত করার পূর্বে আরো প্রয়োজনীয় গবেষণার দরকার (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবড়ৎরড়ষড়মু, ঢ়ধমব-৩২৯)।

গ) ঋষড়ৎবু, ঈযধরহ-এবং তাদের সহকর্মীরা (১৯৪০) ঘনীভূত এবং অপেক্ষাকৃত জমাট আকারে পেনিসিলিন প্রস্তুত করেন। স্টেপ্টোকক্কাই, স্টাফাইলোকক্কাস দ্বারা পরীক্ষমূলকভাবে সংক্রামক রোগসমূহে এই অ্যান্টিবায়োটিকের আরোগ্যকারী গুণ নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে বিশেষ করে স্টাফাইলোকক্কাস দ্বারা পরীক্ষামূলকভাবে সংক্রামক রোগগ্রস্ত মানুষের ওপর গবেষণা ও পরীক্ষায় চরম সাফল্য অর্জন করেন (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবড়ৎরড়ষড়মু, ঢ়ধমব-৭৬)

ঘ) ঝঁষঢ়যড়হধসরফবং-স্বতন্ত্রভাবে সবার নিকট সমান কার্যকরী বা সহনশীল নয়। ফলে অনুভূতিপ্রবণ বা সংবেদশীল ব্যক্তিবর্গের শরীরে বিস্তীর্ণ পরিসরে উৎপন্ন বিষ প্রকাশ পেতে পারে (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবৎরড়ষড়মু, চধমব- ৭৩).

ঙ) পেনিসিলিন যদিও সম্পূর্ণ বিষক্রিয়ামুক্ত তবুও কিছু ব্যক্তি এতে সংবেদনশীল এবং গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া (অষষবৎমরপ জবধপঃরড়হ). প্রকাশ করে- যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবৎরড়ষড়মু, চধমব- ৭৩).

চ) যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানুষের ওপর ভেষজের পরীক্ষামূলক গবেষণা করা হচ্ছে। গবেষণাকারী এবং চিকিৎসকরা ৩টি স্তরে যথা : চৎবষরসরহধৎু চযধৎসধবপড়ষড়মরপধষ ঊাধষঁধঃরড়হ. ইধংরপ ঈড়হঃৎড়ষষবফ ঈষরহরপধষ ঊাধষঁধঃরড়হ ধহফ ঊীঃবহফবফ ঈষরহরপধষ ঊাধষঁধঃরড়হ-এরপর এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ওষুধের নিরাপদ এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হলে কোন ওষুধ বিতরণ এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে দেওয়ার জন্য অনুমোদিত হয় (গবফরপধষ চযধৎসধবপড়ষড়মু, চধমব- ৪৩).

২। স্থূল মাত্রায় পদার্থ সুস্থ্য মানব দেহে যেসব (কৃত্রিম রোগ) লক্ষণ সৃষ্টি করে ওই পদার্থই সূক্ষ্ণ মাত্রায় ওষুধে রূপান্তরিত হয়ে সমলক্ষণ বিশিষ্ট প্রাকৃতিক রোগসমূহ আরোগ্য করে।

ক) যখন সালফোনামাইডস ইনটেনসিভ ডোজে প্রয়োগ করা হয় তখন বিষলক্ষ্ন মৃদু অথবা কঠিন আকারে প্রকাশ পাই। যেমন- বমনেচ্ছা, বমন, চর্মের নীল রোগ, রক্ত- প্রস্তাব, মূত্ররোধ ইত্যাদি। আবার মাত্রা হ্রাসে লক্ষণসমূহ দূরীভূত হয় (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবৎরড়ষড়মু, চধমব- ৭৩).

খ) ঢ-রে এবং রেডিয়াম রে ক্যানসার প্রতিরোধ এবং ধ্বংস করে। আবার উলিস্নখিত রে-সমূহ ক্যানসার সৃষ্টিও করতে পারে, যদি কেউ বৃহৎ মাত্রায় তা গ্রহণ করে (অ ঞৎঁঃয অনড়ঁঃ ঈধহপবৎ, চধমব- ৪৫).

গ) ভিটামিন অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ অত্যন্ত বিপজ্জনক। স্থূল মাত্রায় বিভিন্ন ভিটামিন বিপরীতমুখী (ঈড়হঃৎধৎু) ফলাফল প্রকাশ করে (গবফরপধষ চযধৎসধবপড়ষড়মু, চধমব- ২৮).

ঘ) যক্ষ্ণা রোগে স্থূল মাত্রায় যক্ষ্ণা জীবাণু প্রয়োগ করে শড়পয-যে প্রত্যাশায় গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন তাতে তিনি নিরাশ হন। বরং স্কুলমাত্রা প্রয়োগের ফলে গুরুতর এমনকি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। গবেষণার পরবর্তী পর্যায়ে, সূক্ষমাত্রায় অত্যন্ত সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যায় (অ ঞবীঃ ইড়ড়শ ড়ভ ইধপঃবৎরড়ষড়মু, চধমব- ৩২৯).

ঙ) ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের পুষ্টিবিজ্ঞানীরা মানুষের ওপর পরীক্ষা লব্ধ পর্যবেক্ষণের (ঙনংবৎাধঃরড়হ ড়হ ঊীঢ়বৎরসবহঃ) দ্বারা প্রমাণ করেছেন যে, খেসারি খাওয়ার ফলে নিম্নাঙ্গে পক্ষাঘাতের সৃষ্টি হয়। অথচ এর প্রায় ৮০ বছর পূর্বে হোমিওপ্যাথিতে পক্ষাঘাতসহ এর লাক্ষণিক ওষুধ গবেষণায় সুস্থ মানবদেহে ক্রমাগত স্থূলমাত্রায় খেসারি (ভেষজ) প্রয়োগে অন্যান্য লক্ষণসহ নিম্নাঙ্গে পক্ষাঘাতের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে ভেষজ ও ওষুধের ক্রিয়ার স্থান ও ধরন সম্পর্কে পুনঃপুনঃ পরীক্ষামূলক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ (ঙনংবৎাধঃরড়হ ড়হ ঊীঢ়বৎরসবহঃ)-এ নিশ্চিত হয়ে খেসারি (ভেষজ) কে সূক্ষ্ণমাত্রায় রূপান্তরপূর্বক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ 'খধঃযুৎঁং ঝধঃরাঁং' আবিস্কৃত হয়েছে। হ (চলবে)

ডা. মো. শামসুদ্দোজা আরিফ

বিএসসি, ডিএইচএমএস

সাবেক অধ্যক্ষ ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ

ফার্মগেইট, ঢাকা।

ফোন : ০১৭১১-৫৪০৮৮১, ০১৬০৭-০২৯০১১

ই-মেইলঃ ধহরং.ারঢ়ন@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে