ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল শিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃতু্যদন্ড ও ১ জনকে আমৃতু্য কারাদন্ড এবং টাঙ্গাইলে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে যৌন নিগ্রহের অপরাধে একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে পিরোজপুরে জাল টাকার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আমাদের আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুল শিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃতু্যদন্ড ও ১ জনকে আমৃতু্য কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। অপর ৩ জন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডিতরা হলো শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খাঁনের ছেলে রান্নু খাঁন, শামছুর রহমান খাঁন ও তার ছেলে জামাল খাঁন এবং কানু খাঁন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে জমি বিরোধের জের ধরে উপজেলার শিতলী গ্রামে আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর যখম করে আসামিরা। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত এ রায় দেয়।
এদিকে টাঙ্গাইল স্টাফ রিপোর্টার জানান, টাঙ্গাইলে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে দীর্ঘদিন আটকে রেখে যৌন নিগ্রহের অপরাধে মো. বাদল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। রায়ে দন্ডিতকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দন্ডিত বাদল মিয়া উপজেলার রতনপুর গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে।
জানা যায়, সখীপুরে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বাদল ২০১৭ সালে অপহরণ করে পরিত্যক্ত একটি ঘরে আটকে রেখে দীর্ঘ ছয় মাস ক্রমান্বয়ে যৌন নিগ্রহ করেন। ওই বছরের ২৯ জুলাই ওই ছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে সখীপুর থানায় বাদলকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর বাদল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তবে মামলা চলাকালে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন।
স্টাফ রিপোর্টার পিরোজপুর জানান, পিরোজপুরের একটি আদালত জাল টাকার মামলায় রনি খান নামে একজনকে ১৪ বছর ও অপর ৪ জনের প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বুধবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
১৪ বছর দন্ডপ্রাপ্ত রনি খান সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের দুলাল খানের পুত্র। অপরদিকে ৫ বছর করে সাজা দেয়া ৪ জনের মধ্যে সাফা পিরোজপুর সদর উপজেলার মূলগ্রামের কার্তিক দত্তের পুত্র, বাবু শেখ একই গ্রামের শাহজাহান শেখের পুত্র, মুনান পার্শ্ববর্তী ওদনকাঠীর ওয়ারেস শেখের পুত্র এবং শাহাদাত বাদুরা গ্রামের আদম আলী পঞ্চায়েতের পুত্র। রায় ঘোষণাকালে আসামি শাহাদাত পঞ্চায়েত ছাড়া বাকি আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।