শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
খুলনাগামী দুই ট্রেনের এসি বগি উধাও

নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত নীলফামারী রেলস্টেশন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত নীলফামারী রেলস্টেশন

চরম দুরবস্থার আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে নীলফামারী রেল স্টেশন। রাতে নীলফামারী রেল স্টেশন ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত অন্তত ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিংয়ের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু ও মহিলা যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন বেশি। অন্যদিকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল যখন সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত তখন শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনটি জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় যাত্রীসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এ স্টেশন দিয়ে চলাচল করছে দেশের সর্ববৃহৎ রেল পথ চিলাহাটী থেকে খুলনা অভিমুখী রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি। নির্দিষ্ট সময় দূরের কথা, এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল ট্রেন দুটির নিয়মে পরিণত হয়েছে।

একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ট্রেনের ভেতরের করুণ অবস্থা বলার মতো নয়। ছেঁড়াফাটা সিট, কোথাও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। জানালার গস্নাস নেই। ফ্যান ঘোরে তো, ঘোরে না অবস্থা। বাথরুমে পানি ও সাবান নেই। ভবঘুরে, টোকাই আর হকারের উৎপাত লেগেই আছে। তার উপর বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারীদের রাজত্ব তো আছেই। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় একাকার অবস্থা। কিন্তু কে ভাবে কার কথা। অথচ সবই আছে। আছে ভূরি ভূরি জনবল। এদিকে আকস্মিকভাবে রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি বগিগুলোর হদিস মিলছে না। যাত্রীরা বারবার কাউন্টারে খোঁজ নিয়েও কোনো সঠিক উত্তর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। তবে রেলের একটি সূত্র জানায়, গত ৫-৬ মাস আগে দুই ট্রেনের ৪টি এসি বগি কেটে নেওয়া হয়েছে।

নীলফামারী রেল স্টেশন সূত্র জানায়, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে এসি বগির চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন যাত্রীরা এসি টিকিট খোঁজ করছেন। তবে কি কারণে ট্রেন থেকে এসি বগি দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারেনি। আরেকটি সূত্র জানায়, মেরামতের জন্য বগি ৪টি খুলে নেওয়ার পর থেকে আর কোনো খবর নেই। স্থানীয় যাত্রীরা দ্রম্নত ট্রেন দুটিতে এসি বগি সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে