আজকের যায়যায়দিন

পূর্বশত্রম্নতা ও গ্রাম্য দলাদলির জেরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১৫ ব্যক্তি আহত হন।

আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ছোট খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বর দু'টি গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দেন। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মতুব্বর নামে এক ব্যক্তি মারা যায়। ওই ঘটনায় কাওছার মাতুব্বরসহ তার দলের ৫৫ ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন জলিল মাতুব্বর। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন কাওছার মাতুব্বরসহ আসামিরা। সম্প্রতি জামিনে বের হন কাওছার মাতুব্বরসহ অন্যরা।

এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলিল মাতুব্বরের লোকজন কাওছার মাতুব্বরের সমর্থক পান্নাল মাতুব্বরকে মারতে এলে তখন কাওছার মাতুব্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বীজ থেকে তেল বিক্রিতে লাভ বেশি / সূর্যমুখীর তেল উৎপাদনে ঝুঁকছেন পটুয়াখালীর কৃষক

ভাঙ্গা থানার ওসি মামুনুর রশিদ জানান, 'খারদিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।'