বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
কুয়াশা আর কনকনে শীতে জবুথবু জীবন

তিতাসে কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের ভিড়

তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
তিতাসে কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের ভিড়

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকে নিম্নআয়ের মানুষের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে ওইসব ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন মধ্যবিত্ত আয়ের রোগীরা। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুমিলস্নার তিতাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

দেখা যায়, সকাল থেকে ঘনকুয়াশা বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট কিছুটা কমে আসলেও বেলা ১১টা থেকে হালকা বাতাস বইতে শুরু করে। হিমেল হাওয়ায় অনুভূত হতে শুরু করে কনকনে শীত। অন্যদিন দুপুরে ১-২ ঘণ্টার জন্য সূর্য্যি মামাকে দেখা গেলেও শনিবার ছিল তার ব্যতিক্রম। সমস্ত দিনজুড়ে বিরাজ করেছে হাঁড়কাপানো কনকনে শীত। সরকারি ছুটি থাকায় রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে লোকজনদের সমাগম ছিল খুব কম।

কড়িকান্দি, জিয়ারকান্দি ও মজিদপুর ইউনিয়নের একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, দেশজুড়ে কনকনে শীত বিরাজ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়ার জন্য ক্লিনিকগুলোতে ভিড় করছেন। এসব মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ ঠান্ডাজনিত রোগী। সাড়ে চার বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ক্লিনিকে আসা একজন সহকারী শিক্ষিকা জানান, 'অসুখ-বিসুখ হলে আগে প্রাইভেট ক্লিনিকে দেখাতাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবারই প্রথম বাচ্চাকে নিয়ে সরকারি ক্লিনিকে আসলাম।'

কড়িকান্দি বাজারের অটোরিকশা চালক মজিবুর রহমান জানান, 'আমার অটোরিকশার সামনে গস্নাস নেই; পেটের দায়ে অটো নিয়ে বাহির হতে হয়। গাড়ি চালাতে গিয়ে হাত-পা ঠান্ডায় কাঁপে, নাক ও চোখ দিয়ে পানি আসে। বাইরে না এলে, কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হয়।'

একাধিক কমিউনিটি হেলথ্‌ কেয়ার প্রাভাইডার জানান, 'গত ডিসেম্বর মাসে প্রতিটি ক্লিনিকে গড়ে ৫০-৬০ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০-৫০ জনে। মাস শেষে যা ৯০-১০০ জনে উন্নীত হবে। তারা জানান, আগে নিম্নবিত্ত বা নিম্নআয়ের মানুষ ক্লিনিকগুলোতে সেবা নিতে আসলেও এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে মধ্যবিত্তের লোকজনও সেবা নিতে ভিড় করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান জানান, উপজেলার ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গত মাসের তুলনায় এবার রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় ঠান্ডাজনিত রোগী যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ উলেস্নখযোগ্য। গত ৩ মাসে গড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ৩৬৭ রোগী চিকিৎসা নিলেও চলতি মাসে এ হিসাব ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। মানুষ সেবা ও ওষুধের ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে নজরদারি রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে