বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই গত সপ্তাহখানেক ধরে বন্ধ রয়েছে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষকরা বলছেন, ছাত্ররা বিদ্যালয়ে আসছে না। আবার ছাত্ররা বলছে নতুন বছরের শুরু থেকে স্যাররা বিদ্যালয়ে না আসায় তারাও ক্লাস করতে পারছে না। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। মঙ্গলবার তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের চলমান এ অবস্থাটির কথা জানান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঠাকুরহাটি গ্রামের ছাত্র অভিভাবক তৌফিক আহামেদ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে লিয়াকত হোসেন রয়েছেন বিএড পরীক্ষায়। প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান অফিসের কাজে বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন। মঙ্গলবারও তিনি বোর্ডের কাজে সিলেট অবস্থান করছেন। অপর তিন শিক্ষকের মধ্যে রূপেস দাস ইচ্ছামতো স্কুলে আসা যাওয়া করেন। জামাল উদ্দিন আহমেদ ও আলমগীর হোসেন বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় সই দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হলেও শিক্ষকদের না পেয়ে তারাও বাড়ি ফিরে যায়।

তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী উজান তাহিরপুর গ্রামের সজীব মিয়া জানায়, তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয় ২ কিলোমিটার দূরে। সে নতুন বছরে বই পেয়ে দুইদিন বিদ্যালয়ে গিয়েছে। কিন্তু ক্লাস না হওয়ায় সে আর বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না।

গোবিন্দ শ্রী গ্রামের এক ছাত্রের অভিভাবক নজরুল ইসলাম জানান, 'মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীদের বাড়ি ঘরে খেলতে দেখি। তাদের কাছে বিদ্যালয় বন্ধ না খোলা জানেত চাইলে একাধিক শিক্ষার্থী তাকে জানায় স্যাররা বিদ্যালয়ে কম আসেন ক্লাস হয় না তাই আমরাও যাই না।

তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জাহেদুর রহমান বলেন, 'আমি বোর্ডের কাজে সিলেটে অবস্থান করছি। অন্য শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। তাছাড়া শীতের কারণে বছরের শুরু থেকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা একেবারেই কম আসছে।'

তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আমাদের উপক্ষো করেই চলেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা কোন কিছু বলতে পারি না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে