সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সোহানকে-(৪০) পিটিয়ে হত্যা করেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইউনিট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাতে শরিফুল ইসলাম সোহানের মৃতু্যতে শোক প্রকাশ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন- কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তারা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ জানান, শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় একটি প্রাইভেট জিপগাড়ি পাশে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদের দ্রম্নতগামী একটি মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে পড়ে গিয়ে দুইজন আহত হন। পরে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানসহ অপর দুইজন তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
তিনি আরও জানান, এর কিছুক্ষণ পরই খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় জিপে থাকা আমাদের দুইজনকে নামিয়ে দিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহানকে মারতে মারতে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ নেতারা। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক শরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শাপলা চত্বর ও ভোকেশনাল মোড়ে সড়ক অরবোধ করেন ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানের হত্যাকারীদের দ্রম্নত বিচার দাবি করছি।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ. কে. এম ওহিদুন্নবী বলেন, এ ঘটনার পরপরই নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ সভাপতিকে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।