আজকের যায়যায়দিন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৯টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

এলাকাবাসী ও ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা গেছে, বড় হামিরদী গ্রামের হাবিব সিকদার ও কাইয়ুম তালুকদারের নেতৃত্বে দুটি গ্রম্নপ পরিচালিত হয়। গত শুক্রবার রাতে হামিরদী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে হাবিব সিকদার গ্রম্নপের আরজু শিকদারের সঙ্গে কাইয়ুম তালুকদার গ্রম্নপের চনি শিকদারের চায়ের দোকানে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাবিব গ্রম্নপের হাফিজুলকে প্রতিপক্ষ কাইয়ুমের পক্ষের লোকজন পিটিয়ে আহত করে। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার সকালে হাবিব গ্রম্নপের সঙ্গে ফের কাইয়ুম গ্রম্নপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাইয়ুমের পক্ষের মনিরুল শেখ, জিয়াদ শেখ, আইয়ুব শেখ, লিয়াকত আলী, ইজাজুল শিকদার, চনি শিকদার, বাদশা শিকদার ও খোকন শিকদারের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে কাইয়ুম তালুকদারের লোকজন হাবিব শিকদারের পক্ষের রেজাউল শিকদারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে।

পুঠিয়ায় অবৈধ পুকুর খননে ধ্বংস হচ্ছে সড়ক-ফসলি জমি

ভাঙ্গা থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সকালে কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।