সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

কাপাসিয়ায় এক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদে গড়মিলের অভিযোগ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কাপাসিয়ায় এক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদে গড়মিলের অভিযোগ

গাজীপুরের কাপাসিয়ার কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত নিবন্ধনধারী ৯ শিক্ষকের মধ্যে সাতজন শিক্ষকের সনদ জাল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ১৪ ফেব্রম্নয়ারি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চারজন সদস্য বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে তাদের সনদ যাচাইসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।

কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিলস্নাল হোসাইন জানান, ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ১৭ শিক্ষক ও ৭ কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে নিবন্ধন সনদ নিয়ে ৯ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তারা হলেন- সহকারী শিক্ষক আসমা আক্তার, কবির হোসাইন, মাহবুবুর রহমান সরকার, মিজানুর রহমান ফরাজি, রিপন কুমার সরকার, মোহাম্মদ আশরাফউদ্দিন খন্দকার, মো. এখলাসউদ্দিন, বশিরউদ্দিন আহমদ, রেহেনা আলম। কিন্তু তাদের রোল নং দিয়ে সনদ যাচাই করতে গেলে সাতজন শিক্ষকের সনদে নানা ধরনের গরমিল পাওয়া যায়। শুধু কবির হোসাইন ও বশিরউদ্দিন আহমদের সনদ সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।

তাছাড়া ওই বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা, বিজ্ঞান শাখা, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা, কম্পিউটার ও কৃষি শিক্ষা বিষয় খোলার প্রতিটি অনুমতিপত্রের আদেশ জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পরবর্তী সাত কর্মদিনের মধ্যে সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে রহস্যজনকভাবে বিষয়গুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন জানান, ইউএনও'র নির্দেশে নিবন্ধন সনদধারী ৯ জন শিক্ষকের সনদ যাচাই করার জন্য এনটিআরসিএ'তে তিনি আবেদন করেছেন। এ ছাড়া ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই কারণ দর্শানো নোটিশের পরে সরেজমিন তদন্ত করে সব অভিযোগ থেকে একটি লিখিত অব্যাহতি পত্র দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, জাল নিবন্ধন সনদের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির চারজন সদস্য তাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি যাচাই করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে