আজকের যায়যায়দিন

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের শুতলকাটি গ্রামে ফোরকার পাড় বিশাল দীঘিতে (পুকুর) মাছ ধরার মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও দুইশ' বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ মাছ ধরা উৎসবে দেশীয় উপকরণ বিভিন্ন জাল নিয়ে অংশ নেন প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ। মুরুব্বীদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছরের ন্যায় শনিবার, ২০ এপ্রিল শুতলকাটি গ্রামের ৩ শতাধিক মানুষ দিনব্যাপী এ মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করেন। সকাল থেকেই মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে দীঘি পাড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন। পানিতে একের পর এক ঝাঁপ দেওয়া আর হৈ হুলেস্নাড় করে ছন্দের তালে তালে এগিয়ে যেতে থাকেন মাছ শিকারীরা। এ যেন হারিয়ে যাওয়া বাংলার সৌন্দর্যময় দৃশ্য আর ঐতিহ্যের জয়গান। শুতলকাটি গ্রামের দীঘি মাছ ধরা উৎসব শিকারীদের অনেকেই বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরেন।

মাছ ধরা দেখতে আসা সুকান্ত চন্দ্র শীল বলেন, 'এই দুইশ' বছরের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক মাছ ধরা দেখতে এসেছি। গ্রামীণ সৌন্দর্য খুবই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লাগছে আপনি যে বাড়ি যাবেন সে বাড়িতেই মাছ খেতে পারবেন। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই আয়োজক কমিটিকে।'

আয়োজক কমিটির সদস্য বিলস্নাল হোসেন বলেন, 'আমরা যেহেতু মাছে ভাতে বাঙালি, পরবর্তী প্রজন্ম মাছ যে জাল ছুরে ধরা যায় এটা অনেকে বোঝে না, সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের ফোরকারপাড় ঐতিহ্যবাহী দীঘির এই আয়োজন বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। আমরা চাচ্ছি প্রতি বছর অনুষ্ঠানটি যেন আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে পারি।'

বর্জ্য নিয়ে দুর্ভোগে টাঙ্গাইল শহরবাসী

তিনি আরও বলেন, 'প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট দিনে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে, একই সময় এই দীঘিতে জাল ফেলা হয়। অনেক লোক দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসেন এবং অনেকে জাল নিয়ে মাছ শিকার করতে আসেন। এটা আমাদের দুইশ' বছর পুরনো একটা ঐতিহ্য।'