শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বকশীগঞ্জে সাবেক মেয়রের সমর্থকদের পেটালেন বর্তমানের সমর্থকরা!

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
  ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বকশীগঞ্জে সাবেক মেয়রের সমর্থকদের পেটালেন বর্তমানের সমর্থকরা!

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে সাবেক মেয়রের পক্ষে নির্বাচন করায় তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বতর্মান মেয়রের ভাই ফরহাদ হোসেন মনিরের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের পক্ষে কাজ করেন পৌর এলাকার টিকর কান্দি গ্রামের সুমন মিয়া, শাহীন মিয়া ও শাউন মিয়া। এ কারণে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বর্তমান মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন ও তার সমর্থকরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহীন ও সুমন মিয়ার নেতৃত্বে জুয়া খেলা হয় এমন অভিযোগ এনে তাদের মারধর করেন বর্তমান মেয়রের ছোটভাই ফরহাদ হোসেন মনিরসহ কয়েকজন। মারধরের শিকার সুমন, শাহীন মিয়া ও শাওন মিয়া তিনজনই সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের নির্বাচনী কর্মী ছিলেন। পরে তাদের আহতবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত শাহীন মিয়াকে (৩০) শুক্রবার রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সুমন ও শাওন বর্তমানে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসাধীন।

এদিকে নিজ কর্মীদের মারধরের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের সমর্থকরা শহরের খাদ্য গুদামে সামনে অবস্থিত বর্তমান মেয়র ফকরুজ্জামান মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেন বর্তমান মেয়রের সমর্থকরা। এ ঘটনায় পৌর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ কৌশলে দুই পক্ষকেই সড়িয়ে দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েনসহ টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে মেয়রের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী ও ওসি আবদুল আহাদ খান শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, 'আমার তিনজন কর্মী মতিনের এলাকার হয়েও আমার পক্ষে কাজ করেছে, এটাই তাদের অপরাধ। তাই বর্তমান মেয়রের ছোটভাই মনির ও তার সমর্থকরা আমার কর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে। পাশাপাশি মেয়র মতিনের অফিস নিজেরাই ভাঙচুর করে আমার কর্মীদের ওপর দোষ দিচ্ছে।'

বর্তমান মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন বলেন, 'আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার রাতে তারই ধারাবাহিকতায় আমার অফিস ভাঙচুর করে সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের ক্যাডার বাহিনী। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।'

বকশীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান জানান, শুক্রবার রাতে সাবেক ও বর্তমান মেয়রের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। মেয়রের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে