শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

এক বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪ শিশু, চরম ভোগান্তি

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল
মনজুর হোসেন, মাদারীপুর
  ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে একটি বেডে একসঙ্গে চারজন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে -যাযাদি

প্রচন্ড তাপদাহ অব্যাহত থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে মাদারীপুর জেলার শিশুরা। প্রচন্ড গরমে শিশু ওয়ার্ডে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিকের বেশি শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা কম থাকায় একটি বেড়ে একজনের পরিবর্তে থাকছে চারজন শিশু। অনেকে আবার বেড না পেয়ে হাসপাতালেল মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা শিশু ও অভিভাবকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

জানা গেছে, সদর হাসপাতালটি কাগজ-কলমে আছে ২৫০ শয্যা। বাস্তবে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে হাসপাতালের নামে মাত্র ২৫০ শয্যার কার্যক্রম। গত দেড় মাসে ৩৫-৪০ ডিক্রি তাপদাহের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। মাঝে একটু কম হলেও এখন সেই আগের মতো প্রচন্ড গরমের কারণে জেলার শিশুরা অসুস্থ হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ৪৭টি আসন সংখ্যা হলেও প্রতিদিন ১০০ জনের মতো ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ৩০ জনের স্থানে অনেক বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। নামে মাত্র ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গুণগত মান না থাকলেও রোগী থাকে তিন শতাধিকের বেশি। তাই অনেক রোগী ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আর পুরনো ১০০ শয্যার জনবল ও যন্ত্রপাতি দিয়েই চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা। সেই ১০০ শয্যায় নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক ও নার্স। নেই উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা।

এক শিশু রোগীর মা জানান, হাতপাতালটির গায়ে লেখা আছে ২৫০ শয্যা। বাস্তবে কার্যক্রম নেই ১০০ শয্যার। আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি এক বেডে চারজন শিশু ভর্তি আছে। একজনের বেডে চারজন অসুস্থ শিশু নিয়ে কীভাবে থাকব। খুবই কষ্ট করে ছেলেকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছি।

আরেক শিশু রোগীর নানু জানান, ছোট নাতনি শিশু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছি। এখানে এসে দেখি হাসপাতালের খুবই খারাপ অবস্থা। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। বেডে শিশু থাকার জায়গা নেই। বেড না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে শিশুর চিকিৎসা নিচ্ছি। শিশু ওয়ার্ডের জন্য আরও বেশি বেড, ভালো ডাক্তার ও নার্স দরকার।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, 'আমাদের হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি থাকায় ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। তবে বিল্ডিংয়ের বাইরে তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে না, হাসপাতালের ভেতরই ফ্লোরে রাখতে পারছি। এখানে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা সব সময় বেশি থাকে।' সেবার মান সম্পর্কে সিভিল সার্জন বলেন, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার কর্যক্রম। জনবল নিয়োগ পেলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে