বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শত্রম্নতার জেরে ক্ষেতে পচে নষ্ট হলো দুই শতক জমির ধান

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
শত্রম্নতার জেরে ক্ষেতে পচে নষ্ট হলো দুই শতক জমির ধান
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শত্রম্নতার জেরে কাটতে না পারায় ক্ষেতেই পচে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধান -যাযাদি

পূর্বশত্রম্নতার জেরে ২০০ শতক জমির পাকা ধান মাঠেই পচে বিনষ্ট হয়ে গেছে। পাকা ধান কাটতে এক প্রতিপক্ষ ক্ষেতে গেলে অপর প্রতিপক্ষের বাধার মুখে মাঠের ধান না কেটেই চলে আসেন প্রতিপক্ষরা। তারপর নানা দেনদরবার করেও সেই পাকা ধান আর কাটা যায়নি। শেষে বৃষ্টির পানিতে ডুবে ফসলের মাঠেই ধান পচে বিনষ্ট হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাঁচাশি গ্রামে।

1

এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ভুক্তভোগী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাস্ত) পাঁচাশি গ্রামের আল মামুন রাজিব।

ভুক্তভোগী রাজিবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই গ্রামের সিদ্দিক খাঁ গংদের সঙ্গে তাদের প্রায় ১৫ বছর যাবত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। দুই পরিবারের এ দ্বন্দ্ব এখন দুই গোত্রের মাঝে ছড়িয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী শত্রম্নতার। যার প্রেক্ষিতে গত বছর তার চাচাতো ভাই সাজ্জাদুল হক খুন হয়েছেন প্রতিপক্ষের হাতে। উলেস্নখিত দীর্ঘ সময় ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে জমি দখল, হামলা, মামলা ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা।

গত বোরো মৌসুমে ২০০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছিলেন রাজিব। পাকা ধান কাটতে তিনি জমিতে গেলে তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে সিদ্দিক খাঁর লোকজন। অনেক দেনদরবার করেও সেই ধান আর কাটা সম্ভব হয়নি। ফলে ২০০ শতক জমির সম্পূর্ণ ধান মাঠেই বিনষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রামগোপালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুলস্নাহ আল আমিন জনি বলেন- 'দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে ফসলের জমিটা পতিত না থাকে। কিন্তু সিদ্দিক গংরা কোনো কিছুই মানতে রাজি নয়, তাদের কারণে ২০০ শতক জমির ধান মাঠেই বিনষ্ট হয়ে গেছে এবার।'

অভিযোগ অস্বীকার করে সিদ্দিক খাঁ বলেন- 'দীর্ঘদিন প্রেম করে ২০০৯ সালে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছিল রাজিব। মাত্র দুই মাস পর মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে। সে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে। আমরা তার জমির ধান কাটতে বাধা দেইনি, আমাদের জমির ওপর দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে নিষেধ করেছি।'

গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় বলেন, দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের, সিদ্দিক খাঁ তার জমির ওপর দিয়ে যেতে রাজিবদের নিষেধ করেছেন। বিকল্প অন্য কোনো পথ না থাকায় তারা ধান কাটতে পারেননি। পরে বৃষ্টির পানিতে ডুবে ক্ষেতের মাঝেই ধান পচে বিনষ্ট হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে