শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

পূর্বধলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট! বিপাকে খামাড়িরা

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পূর্বধলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট! বিপাকে খামাড়িরা

নেত্রকোনার পূর্বধলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট চলছে। এতে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারির মালিকরা। খাদ্য সংকটের কারণে অনেকেই বিকল্প হিসেবে কচুরিপানা খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে চড়া মূল্যে গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার কারণে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পস্নাবিত হয়। এছাড়া অন্য ইউনিয়নের নিচু এলাকা পস্নাবিত হয়ে পড়ে। এতে মাঠের ফসল বিনষ্ট ও মাঠে পানি উঠে যাওয়ায় ঘাসও মরে যায়। ফলে উপজেলার কৃষক ও খামারিরা গরু ছাগলের খাবারের জন্য শুধু বনের (খড়) উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে মজুতকৃত গরুর খাদ্য বন দ্রম্নত শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকেই খাদ্যের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে হ্যান্ডট্রাক্টর, পিকআপ, অটো দিয়ে গো-খাদ্য হিসেবে খড় কিনে আনতে দেখা যাচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় কেউ কেউ খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কচুরিপানা খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এই সংকটের কারণে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে কেউ কেউ গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বখতিয়ার উদ্দিন জানান, গো-খাদ্যের সংকটে তিনি দুটির গরু অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, বর্তমানে গরুর খাদ্য খুব চড়া ও ওজন দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মণ খড়ের দাম এক হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খামারি মালিক মেহেদী হাসান জানান, ৫ মণ খড় তিনি শ্যামগঞ্জ এলাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সংগ্রহ করেছেন। কৃষক মঞ্জুরুল হক বলেন, বর্তমানে যান্ত্রিক মাড়াইকল দিয়ে ফসল মাড়াইয়ের কারণে গরুর খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেয়। এতে পরবর্তী ফসল কাটার আগেই গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এমএম আব্দুল আউয়াল বলেন, অসময়ের বন্যার কারণে উপজেলায় গো-খাদ্যের সাময়িক কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বর্তমানে ফসল কাটা শুরু হলেই সংকট কেটে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে