চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব নাপোড়া গ্রাম এলাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম। এ আশ্রমে প্রতিদিন অধ্যক্ষ শ্রী শ্রীমৎ লোকনাথ শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারীর আশীর্বাদ নিতে আসেন শত শত ভক্ত কুল। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আগমনও ঘটে। তবে বাধ সেধেছে হাতির পাল। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যা নামলেই বন্যহাতির পাল পাহাড় থেকে নেমে আসে। তাই ৮ একর জায়গা নিয়ে গঠিত লোকনাথ আশ্রমের নিরাপত্তায় চারপাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী শ্রীমৎ লোকনাথ শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী।
জানা যায়, লোকনাথ আশ্রমে প্রতিদিন শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আগমন ঘটে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় রাতের বেলায় বন্যহাতির পাল আসার কারণে আশ্রমে আসা ভক্তরা ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়ে। আশ্রমের চারপাশ খোলা থাকায় সবাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে প্রার্থনা ও ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান করে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে আশ্রমের নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
আশ্রমের পক্ষে জহরলাল দেব দাশ বলেন, 'লোকনাথ আশ্রমে প্রতিদিন শত শত ভক্তকুলের আগমন ঘটে। শুধু বাংলাদেশ নয়- ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ থেকেও পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বন্যহাতির পাল নেমে আসে। তাতে ভক্তরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। যার কারণে আশ্রমের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর প্রয়োজন। তাই সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।'
জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, 'বন বিভাগ এ ধরনের অনুমতি দিতে পারে না। হাতির নিয়মিত চলাচলের পথ এটি। তাই হাতির গুরুত্বপূর্ণ এই চলাচলের পথ বন্ধ করে দিলে হাতির মতো বন্যপ্রাণী জলদী অভয়ারণ্য থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।'