হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানে মোস্তাক আহমেদ হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিহত মোস্তাকের ভাই ময়না মিয়া গত বৃহস্পতিবার এ হত্যাকান্ডের অভিযোগ ট্রাইবু্যনালে নিবন্ধনভুক্ত করে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন।
সাবেক ৩ সংসদ সদস্য, ৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ২ মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৩২ জনের নাম উলেস্নখ করে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে ৩০০ জন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান, সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সাবেক এএসপি, খলিলুর রহমান, সদর মডেল থানার সাবেক ওসি অজয় চন্দ্র দেব, এমপি আবু জাহিরের তৎকালীন দেহরক্ষী মাহবুব আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, বানিয়াচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, লাখাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর হোসেন জিতু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সামছুল হক, বন্দুকদারী প্রবাসী আওয়ামী লীগ ক্যাডার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, পুরান মুন্সেফী এলাকার আব্দুর রাজ্জাক রাজা মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, ফয়জুর রহমান রবিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তজম্মুল হক চৌধুরী, লুৎফুর রহমান তালুকদার, গোপায়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, জালাল আহমেদ, জহিরুল ইসলাম রুহেল, ফরহাদ আহমেদ, নোয়াখালের মো. ছালেক মিয়া, মাহমুদাবাদের সামছুল হক, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ও নবীগঞ্জের আব্দুল হাই।
এর আগে গত ২ আগস্ট হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২১ আগস্ট সদর মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়।