নীলফামারীর চার জেলা কিশোরগঞ্জ, ডোমার, জলঢাকা ও সদর উপজেলায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বেশি লাভের আশায় অনেক চাষি সময়ের আগেই আলু উত্তোলন করছেন।
এই এলাকায় সেভেন ও বগুড়ার রোমানা জাতের আলু সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি নতুন আলু জমিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৬ টাকা পর্যন্ত।
সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের চাঁদেরহাট গ্রামের কৃষক সাদ্দাম ইসলাম, জিকরুল ইসলাম ও সাদিকুল ইসলাম জানান, এ বছর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি থাকায় বিঘাপ্রতি খরচ গুণতে হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে ভালো দামের আশায় আগাম আলু তুলে বিক্রি করছেন তারা।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাত হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। যা ছাড়িয়ে ৪৫ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে আলু উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। তবে দুই-চার দিনের মধ্যেই পুরোদমে আলু উত্তোলন হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
জলঢাকা উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের দক্ষিণ দেশীবাই এলাকার চাষি জাবেদ আলী বলেন, 'এবছর শুরু থেকে আলুর বীজের দাম অনেক বেশি। আগাম আলুতে উৎপাদন কম। এ কারণে আলুর দাম একটু চড়া।'
কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, 'আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে রোমানা জাতের আলুর দাম একটু বেশি।'
সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের চাঁদেরহাটের আলুর পাইকার রশিদুল ইসলাম ও আব্দুল মোন্নাফ জানান, সূর্যের উত্তাপ কম থাকার কারণে আগাম জাতের আলুর ফলন কম হয়েছে। চাহিদা মতো আলু পাওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে, ততটুকু বস্তায় ভরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন খরচ বেশি। তাই অধিক লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগে অনেকেই আলু তুলছেন।'