ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সৈয়দপুর। সেই সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে, সৈয়দপুরে বিমান চলাচলে বিঘ্নসহ জন-জীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। শীতের কারণে শ্রমিক ও দিন-মজুররা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় তাদের পরিবারে নেমে আসছে স্থবিরতা। স্থানীয় বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, গত রোববার সকাল ৬টার দিকে তাপমাত্রা ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা শুরু করে দুপুর ১২টার পর। ফলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর শহরসহ মহাসড়কে যানবাহনগুলো চলাচল করছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে, সেই সঙ্গে শির-শির ঠান্ডা বাতাসও অনুভূত হতে থাকে। যার ফলে রাত ৯টার পর থেকে শহর-গ্রাম-বন্দর-গ্রাম এলাকাগুলো ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে ছেয়ে যায়।
লক্ষ্য করা গেছে, রোববার রাত ৯টার পর সৈয়দপুর শহর ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ভারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করছে। কাছে আসলে হেড লাইটের আলোর দেখা মিললেও পিছনে কোনো যানবাহন পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। আর শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বাজারের কাপড়ের দোকানগুলো ও রেললাইনের ধারের পুরনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন আয়ের মানুষজনের ভিড় বেড়ে যেতে দেখা গেছে। লক্ষ্য করা গেছে, এসব দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার মধ্যেও লোকজন কেনাকাটা করছেন।
স্থানীয় বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হলেও গত রোববার সকালে বিরাজ করছিল মাত্র ৫০ মিটার। যার জন্য বেলা ১২টার পর দৃষ্টিসীমা বাড়লে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক একেএম সালাউদ্দিন জাকারিয়া সংবাদকর্মীদের জানান, গত রোববার কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় দুপুরের পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে তীব্র শীতের কারণে অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষরা কষ্ট পাচ্ছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে এখনো কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।